রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব? এই ৪টি কৌশলে নিয়ন্ত্রণ করুন |

রাতে ঘুমানোর সময় ঘন ঘন ওয়াশরুমে যেতে হয়? ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে? সারাদিন কাজ করার সময়ও বারবার প্রস্রাবের চাপ অনুভব হয়? চিন্তার কিছু নেই—এটি শুধু আপনার সমস্যা নয়, বরং লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অসুবিধায় ভুগছেন। সুখবর হলো, ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু সহজ নিয়ম মানলে অনেকটাই উপশম পাওয়া সম্ভব।

প্রথমেই জানতে হবে—বারবার প্রস্রাব হওয়ার কারণ কী?


ঘন ঘন প্রস্রাবের সম্ভাব্য কারণ

  • রাতে অতিরিক্ত পানি খাওয়া

  • চা, কফি বা ঠান্ডা পানীয়ের অতিরিক্ত ব্যবহার

  • অ্যালকোহল গ্রহণ

  • ডায়াবেটিস বা হরমোনজনিত সমস্যা

  • মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI)

  • প্রস্টেটের সমস্যা (পুরুষদের ক্ষেত্রে)

  • মূত্রাশয়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া

খারাপ জীবনধারা এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা একসঙ্গে মিলে এই অসুবিধা বাড়িয়ে তোলে।


ঘরোয়া প্রতিকার এবং নিয়ন্ত্রণের টিপস

১. তরল নিয়ন্ত্রণ

পানি শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি, তবে রাতে অতিরিক্ত পান করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

  • ঘুমানোর অন্তত ২–৩ ঘণ্টা আগে থেকে পানি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন।

  • দিনের বেলায় সুষমভাবে পানি পান করুন।

২. চা, কফি এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন

  • ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল মূত্রাশয়কে উদ্দীপিত করে।

  • সন্ধ্যার পর চা, কফি বা কোল্ড ড্রিঙ্কস না খাওয়াই ভালো।

  • হঠাৎ পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলে ধীরে ধীরে পরিমাণ কমান।

৩. মূত্রাশয় ট্রেনিং

  • প্রস্রাবের চাপ এলেই সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে না গিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখার চেষ্টা করুন।

  • ধীরে ধীরে মূত্রাশয় দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখতে সক্ষম হবে।

  • এই অভ্যাস রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব কমাতে সাহায্য করে।

৪. কেগেল ব্যায়াম

  • পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই কার্যকর।

  • প্রস্রাব বন্ধ করার মতো করে ৫ সেকেন্ড পেশি শক্ত করে ধরুন, তারপর ছেড়ে দিন।

  • প্রতিদিন ৮–১০ বার করুন।

  • বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি মূত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী।


অতিরিক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • ডায়াবেটিস চেকআপ করুন: অতিরিক্ত প্রস্রাব ডায়াবেটিসের একটি লক্ষণ হতে পারে।

  • লবণ কম খান: অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে পানি জমে এবং রাতে বেশি প্রস্রাবের চাপ হয়।

  • ওষুধের প্রভাব: কিছু ওষুধ (যেমন ব্লাড প্রেসার কমানোর ডাইইউরেটিক) প্রস্রাব বাড়াতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।

  • শোওয়ার আগে টয়লেটে যান: এটি সাধারণ অভ্যাস হলেও খুব কার্যকর।


কখন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন?

যদি বারবার প্রস্রাবের সঙ্গে সঙ্গে নিচের সমস্যাগুলো দেখা দেয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান—

  • প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা

  • প্রস্রাবে রক্ত

  • অত্যধিক দুর্বলতা বা ক্লান্তি

  • প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা

কারণ এগুলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, কিডনি বা প্রস্টেটের সমস্যা, এমনকি ডায়াবেটিসেরও লক্ষণ হতে পারে।


 

রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তরল নিয়ন্ত্রণ, কফি–অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা, মূত্রাশয় ট্রেনিং ও কেগেল ব্যায়াম—এই চারটি টিপস নিয়মিত মানলেই ভালো ফল পাবেন। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ভারতের পার্সেলে দিতে হবে সর্বোচ্চ দাম, আমেরিকায় প্যাকেজে শুল্কছাড় শেষ, ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া সিদ্ধান্ত

এত দিন আমেরিকা প্যাকেজ লেনদেনের ক্ষেত্রে যে শুল্কছাড় দিত, তা তুলে নেওয়া হল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে আর কোনও প্যাকেজ লেনদেনে শুল্কছাড় প্রযোজ্য থাকবে না।

৮০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭০,২৪৩ টাকা) বা তার কম মূল্যের প্যাকেজ লেনদেনের ক্ষেত্রেও এত দিন যে সুবিধা ছিল, তা আর থাকবে না। এখন থেকে আমেরিকায় কোনও পার্সেল পাঠাতে হলে স্বাভাবিক শুল্ক দিতে হবে। অর্থাৎ, পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে যে দেশের উপরে যত শুল্ক আরোপিত হয়েছে, পার্সেল বা প্যাকেজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে। যে কোনও দামের পার্সেলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম চালু হবে। তবে আগামী ছ’মাসের জন্য পার্সেল প্রেরকদের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রেখেছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রেরকেরা চাইলে আগামী ছ’মাস সরাসরি বাড়তি অর্থ দিয়ে পার্সেল পাঠাতে পারবেন। তবে এই বাড়তি অর্থ দেশভেদে আলাদা। এক-একটি পার্সেলের জন্য ৮০ ডলার (৭,০২৪ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ২০০ ডলার (১৭,৫৬১ টাকা) পর্যন্ত গুনতে হবে। মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এজেন্সি (সিবিপি) জানিয়েছে, যেসব দেশের উপর মার্কিন রফতানি শুল্ক ১৬ শতাংশ বা তার কম, তাদের ক্ষেত্রে বাড়তি ৮০ ডলার দিলেই চলবে। এই তালিকায় রয়েছে ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ। যেসব দেশের উপর শুল্কহার ১৬ থেকে ২৫ শতাংশ, তাদের প্রতিটি পার্সেলের জন্য বাড়তি ১৬০ ডলার (১৪,০৪৯ টাকা) দিতে হবে। এই তালিকায় ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম রয়েছে। আর যেসব দেশের উপর ২৫ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপিত—যেমন চিন, ভারত, ব্রাজিল, কানাডা—তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ ডলার শুল্ক গুনতে হবে। তবে এই নিয়ম কেবল ছ’মাসের জন্য, তার পর থেকে সব দেশের পার্সেলের জন্য স্বাভাবিক রফতানি শুল্কই কার্যকর হবে।

আমেরিকার বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানিয়েছেন, পার্সেল লেনদেনে শুল্কছাড় তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থায়ী। ভবিষ্যতে কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তাঁর দাবি, এত দিন শুল্কছাড়ের সুযোগ নিয়ে আমেরিকায় নিষিদ্ধ মাদক এবং বিপজ্জনক সামগ্রী প্রবেশ করত। এই সিদ্ধান্তে তা বন্ধ হবে। তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকানরা উপকৃত হবেন। নিষিদ্ধ ও বিপজ্জনক জিনিসপত্র আর অবাধে ঢুকতে পারবে না। একই সঙ্গে এই পদক্ষেপ থেকে বছরে এক হাজার কোটি ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব আসবে। এটি একটি স্থায়ী পরিবর্তন।’’

অভিযোগ ছিল, পার্সেলে শুল্কছাড় থাকায় অনেক দেশ রফতানি শুল্ক এড়ানোর পথ হিসেবে এটি ব্যবহার করত। সাধারণ রফতানিতে শুল্ক দিতে হলেও সরাসরি পার্সেলের মাধ্যমে গ্রাহকের হাতে পণ্য পৌঁছে দিয়ে সেই শুল্ক এড়ানো সম্ভব হত। চিন-সহ একাধিক দেশ এভাবেই আমেরিকায় পণ্য পাঠাত। এই ‘ফাঁক’ নিয়ে আমেরিকায় দীর্ঘ দিন আলোচনা চলছিল এবং বিরোধিতাও হচ্ছিল। উপরন্তু, পার্সেলের ক্ষেত্রে নজরদারি তুলনামূলক কম থাকায় নিষিদ্ধ সামগ্রীও প্রবেশ করত। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপে সেই পথ বন্ধ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চার বার ফোন, একবারও সাড়া দিলেন না মোদী—বিদেশি রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি

শুল্ক কার্যকর, টানাপড়েন বাণিজ্যিক সম্পর্কে

বুধবার থেকে ভারতের উপর ট্রাম্পের চাপানো বাড়তি শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যখন আমেরিকা ও ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে, তখন বিদেশি সংবাদমাধ্যমের দুটি রিপোর্ট নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

চার বার ফোন, তবু নীরব মোদী

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে জ়াইটুং (এফএজ়েড)-এর দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত চার বার ফোনে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একবারও ফোন ধরেননি।
একই দাবি জাপানের নিক্কেই এশিয়া-র প্রতিবেদনে। ২৪ অগস্ট প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমঝোতার উদ্দেশ্যে বারবার ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু মোদী সেই কল প্রত্যাখ্যান করেন। সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এক ভারতীয় কূটনীতিবিদকে।
তবে এই বিষয়ে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটন বা নয়াদিল্লি।

পাকিস্তান প্রসঙ্গেই বিরক্ত মোদী?

বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, পাকিস্তানকে ঘিরেই মূলত ফোন এড়াচ্ছেন মোদী।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত–পাকিস্তান সংঘাত থামানোর কৃতিত্ব নিজের ঘাড়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, শুল্কের হুঁশিয়ারি দিয়েই দুই দেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছেন তিনি। শুরু থেকেই নয়াদিল্লি এই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোদীর আশঙ্কা—ফোনে কথা বললে ট্রাম্প হয়তো আবারও কথোপকথন ভুলভাবে ব্যাখ্যা করবেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন ট্রাম্প, যা নিয়েও অসন্তুষ্ট মোদী।

বৈঠকের সুযোগ হাতছাড়া

গত জুন মাসে কানাডায় জি২০ সম্মেলনের পর মোদী ও ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প আগে বেরিয়ে যাওয়ায় তা হয়নি। পরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মোদীকে ওয়াশিংটনে, কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে যান।
এবার জার্মানি ও জাপানের সংবাদমাধ্যমের নতুন দাবি ঘিরে ফের আলোচনায় এসেছে আমেরিকা–ভারত সম্পর্ক।

‘শব্দায়ন- এ স্ট্যান্ডআপ পোয়েট্রি প্ল্যাটফর্ম’ এর উদ্বোধন

স্বনামধন্য ও প্রতিনিধিত্বশীল কবি, আবৃত্তিশিল্পীদের কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হল দেশের প্রথম স্ট্যান্ডআপ পোয়েট্রি প্লাটফর্ম শব্দায়ন-এর। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কবিতা পাঠ, আবহসঙ্গীত ও কনটেম্পোরারি কোরিওগ্রাফির সমন্বয়ে নানামাত্রিক উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজধানীর গোয়েথে-ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর অডিটরিয়ামে শব্দায়ন এ স্ট্যান্ডআপ পোয়েট্রি প্ল্যাটফর্ম এর উদ্বোধন করা হয়। অতঃপর শব্দায়নের উদ্যোগটির বাস্তবায়ন সহযোগী গোয়েথে-ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ এবং এমপাওয়ারড বাই/ পৃষ্ঠপোষকতায় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি। প্ল্যাটফর্মের ব্রান্ডিং পার্টনার বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রা।

 

এতে অংশ নেন দেশের স্বনামধন্য ও প্রতিনিধিত্বশীল কবি, আবৃত্তিশিল্পী ও অন্যান্যরা। আয়োজনে ধ্রুপদী ও সমকালীন বাংলা ভাষার কবিতার পাশাপাশি মান্দি, ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় কবিতা পাঠের সাথে আবহসঙ্গীত ও কনটেম্পোরারি কোরিওগ্রাফি উপস্থাপন করা হয়। 

 

এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য কবি ও আবৃত্তিশিল্পীরা হলেন, আফাজ উদ্দিন কবিরাজ, টিটো মুন্সী, মিঠুন রাকসাম, রিংকু রাহী, থিওটোনিয়াস গমেজ, মনিরুল মনির, পিয়াস মজিদ, শিবু কুমার শীল, শাহ্‌নাজ মুন্নী, ফ্র্যাঙ্ক ভের্নার, উম্মে রায়হানা, টোকন ঠাকুর, নিশাত জাহান রানা এবং আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাদাব হাশমি এবং মারিয়া ফারিহ্ উপমা। ম্যাশ-মাহবুব কোরিওগ্রাফি টিম কনটেম্পোরারি নৃত্য এবং কবি ও শিল্পী শিবু কুমার শীল ও টিম আবহসঙ্গীত করেছেন। অনুষ্ঠান শেষে শব্দায়ন প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন অতঃপর শব্দায়নের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ ভিশনারি অফিসার(সিভিও) যোবায়ের শাওন। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফুল বারী মজুমদার, ডিরেক্টর শিরিন সুলতানা, মাত্রার ম্যানেজিং পার্টনার সানাউল আরেফিন, ডিরেক্টর তাজীন হালিম, খন্দকার আলমগীর, কবি তারিক-উল ইসলাম, কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, কবি তুষার প্রসুনসহ আরো অনেকে।  

 

এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রতিটি কবিতা পাঠের অডিও-ভিজ্যুয়াল আয়োজক ও সহযোগিদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মসমূহের মাধ্যমে পরবর্তীতে প্রচার করা হবে

Advertisement

মোবাইল ক্রোমে আইফোনের মতো পেইজ স্লাইড

গুগল ক্রোম মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন একটি ফিচার চালু করেছে, যেখানে ওয়েবপেজের এক লিংক থেকে আরেক লিংকে গেলে আইফোনের মতো পেইজ স্লাইড অ্যানিমেশন দেখা যাবে। ফলে মোবাইল ব্রাউজিং হবে আগের চেয়ে বেশি মসৃণ ও দৃষ্টিনন্দন।

এখন থেকে গুগল ক্রোমে (Chrome for Android ও iOS) যখন ব্যবহারকারী একটি পেজ থেকে অন্য পেজে যাবেন, তখন পুরো স্ক্রিনটি একপাশ থেকে আরেকপাশে ধীরে ধীরে স্লাইড করে আসবে। এ রকম অ্যানিমেশন আগে শুধু আইফোনের Safari ব্রাউজারে দেখা যেত।

ক্রোমের নতুন এই ফিচারটির নাম Shared Element Transitions। এটি মূলত ক্রোমের অ্যানিমেশন প্রযুক্তি, যা দুটি ওয়েবপেজের মধ্যে ভিজ্যুয়াল রূপান্তর আরও স্বাভাবিক করে। গুগলের দাবি, এতে ব্রাউজিংয়ের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে এবং অ্যাপ ব্যবহারের মতো অনুভূতি দেবে।

নিজে থেকে চালু করতে হলে
যাঁদের ফোনে এখনো ফিচারটি সক্রিয় হয়নি, তাঁরা চাইলে নিজেরাই চালু করে নিতে পারেন। এজন্য মোবাইল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে ঠিকানাবার (address bar)-এ লিখতে হবে: chrome://flags

তারপর ‘Shared Element Transitions’ লিখে সার্চ করে সেটি Enabled করে দিতে হবে। এরপর ব্রাউজারটি রিস্টার্ট দিলে পরিবর্তন কার্যকর হবে।

ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ব্যবহারকারী এরই মধ্যে নতুন এই ফিচার নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, ক্রোমে এখন “Safari-এর মসৃণতা পাওয়া যাচ্ছে”, আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “অবশেষে মোবাইল ক্রোমে ব্রাউজিং আরও স্মার্ট অনুভব হচ্ছে।”

প্রযুক্তি বিশ্লেষকের মত
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ভার্জ (The Verge)-এর মতে, গুগলের এই নতুন উদ্যোগ মোবাইল ওয়েবকে আরও বেশি অ্যাপের মতো ইউজার ইন্টারফেস দিতে পারবে। এতে ব্যবহারকারীরা সহজেই একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পৃষ্ঠায় ঘুরে বেড়াতে পারবেন, যেন তাঁরা কোনো অ্যাপের মধ্যেই আছেন।

এ ছাড়া নতুন অ্যানিমেশন ফিচারটি মোবাইল ফোনে পেইজ লোডিংয়ের সময় ভিজ্যুয়াল জাম্প কমায়, ফলে চোখে কম ধাক্কা লাগে এবং ইউজারের মনোযোগও বাড়ে।

আরও যা জানা গেছে
গুগলের এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, নতুন এই অ্যানিমেশন ফিচার এখন পরীক্ষামূলক (experimental) পর্যায়ে আছে। আগামী কিছু সপ্তাহের মধ্যে এটি ধাপে ধাপে সব ব্যবহারকারীর ফোনে পৌঁছাবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে Chrome-এর সর্বশেষ সংস্করণ এবং অ্যান্ড্রয়েড ১১ বা তার পরের সংস্করণ।

শেষ কথা
একটি ওয়েবপেজ থেকে আরেকটিতে যাওয়ার সময় যদি স্মুথ ট্রানজিশন দেখা যায়, তা যে শুধু চোখের জন্য আরামদায়ক তা নয়—এর মাধ্যমে ওয়েব ব্রাউজিং হয়ে ওঠে আরও উপভোগ্য। গুগলের এই নতুন ফিচার প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে নিঃসন্দেহে এক আনন্দের খবর।

...

মাইনক্রাফ্ট গেমে শিশুরা আসক্ত কেন?

মাইনক্রাফ্ট সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও গেম। ২০০৯ সালে প্রথম বাজারে আসার পর, ২০২৩ সালের মধ্যে এর ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। এটি এবং রোব্লক্স এবং টেরারিয়ার মতো গেমগুলি শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত সব বয়সের গেমাররা উপভোগ করে।

এই গেমটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম, এখনকার স্বল্পস্থায়ী মনোযোগের যুগে এটি একটি অসাধারণ কৃতিত্ব। অবশ্য কিছু অভিভাবকের শঙ্কা রয়েছে যে মাইনক্রাফ্টের প্রতি তাদের সন্তানদের আগ্রহ প্রায় আসক্তির পর্যায়ে চলে যেতে পারে। কারণ তারা তাদের কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে দূরে সরাতে হিমশিম খান।

মাইনক্রাফ্টের জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি যে, জ্যাক ব্ল্যাক এবং জেসন মোমোয়া অভিনীত ‘আ মাইনক্রাফ্ট মুভি’ নামে একটি বহুল প্রতীক্ষিত হলিউড চলচ্চিত্র ২০২৫ সালের এপ্রিলে মুক্তি পেতে চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাইনক্রাফ্ট এবং এর মতো গেমগুলির সাফল্যের পিছনে গভীর মনস্তাত্ত্বিক- এমনকি বিবর্তনীয় কারণও থাকতে পারে। এই গেমগুলি আমাদের সকলের মধ্যে একটি সহজাত প্রবৃত্তিকে কাজে লাগায়- যা আমাদের সমগ্র প্রজাতির সাফল্যের ভিত্তি। আর সেটি হলো- নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা।

শিশুরা সবসময়ই কিছু না কিছু তৈরি করতে পছন্দ করে- স্যান্ডক্যাসল, দুর্গ, ট্রিহাউস- এর কয়েকটি উদাহরণ মাত্র। কাঠের ব্লক, ক্লেডো এবং লেগোও ভাল উদাহরণ। মাইনক্রাফ্ট সম্ভবত ডিজিটাল জগতে এই ধরনের খেলার একটি সাম্প্রতিক সংস্করণ। অনেক শিশুর কাছেই এই বিভিন্ন ধরনের বস্তু তৈরির বিষয়টি আকর্ষণীয় কেন?

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের বোস্টন কলেজের শিশু শিক্ষার পদ্ধতি নিয়ে গবেষণারত মনোবিজ্ঞানী পিটার গ্রে বলেন, ‘সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীই তাদের শৈশবে খেলাধুলা করে। উদাহরণস্বরূপ, শিকারি প্রাণীরা বিভিন্ন প্রাণী বা বস্তু ধরার খেলা খেলে। লাফানো এবং পালানোর অনুশীলন করে।

এ বছরই জনপ্রিয় এই গেমটির থিম নিয়ে একটি সিনেমা মুক্তি পাবে।

গ্রে বলেন, “তাদের বেঁচে থাকার এবং শেষ পর্যন্ত সঙ্গীর সাথে মিলিত হওয়ার ক্ষমতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতাগুলো তারা খেলার মাধ্যমে আয়ত্ত করে”

মানুষ অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আলাদা, কারণ আমাদের বেঁচে থাকার অনেকটাই নির্ভর করে বস্তু তৈরির ক্ষমতার ওপর- কাদা দিয়ে তৈরি কুঁড়েঘর থেকে শুরু করে শিকার এবং সংগ্রহের সরঞ্জাম পর্যন্ত। “এটা আশ্চর্যজনক নয় যে প্রাকৃতিক নির্বাচন শিশুদের জিনিস তৈরির খেলায় শক্তিশালী প্রেরণা দিয়েছে,” বলেন গ্রে।

শিশুরা কথা বলা ও কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে খেলাধুলা করে, অথবা এমন সব খেলা তৈরি করে যেখানে নিয়মকানুন থাকে এবং একে অপরের সাথে মেলামেশা করার সুযোগ থাকে। এগুলো তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করে। তাদের হৃদয়ে থাকে – সবই যেন প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রস্তুতির অংশ।

গ্রে বলেন, খেলার সময় শিশুরা কী তৈরি করতে পছন্দ করে এবং কীভাবে তৈরি করে, তা সাধারণত তারা যে সংস্কৃতিতে বাস করে তার প্রতিফলন। তিনি বলেন, “আজ শিশুরা কম্পিউটারে খেলতে সত্যিই আকৃষ্ট হচ্ছে দেখে আমাদের মোটেই অবাক হওয়া উচিত নয় – এবং এটি আমাদের উদ্বিগ্নও করা উচিত নয়। আমি বলবো, শিশুরা তাদের হাড়ে, তাদের সহজাত প্রবৃত্তিতে জানে যে এই দক্ষতাগুলো তাদের বিকাশ করা দরকার।”

নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী জুলিয়ান টোগেলিয়াস তার নিজের ছেলের মধ্যেও বিভিন্ন জিনিস তৈরির সহজাত প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন, যদিও তার বয়স এখনও তিন বছর হয়নি। টোগেলিয়াস ব্যাখ্যা করেন, নার্সারিতে তার ছেলে খেলনা ট্রেন এবং ট্রাক চালানোর জন্য সুড়ঙ্গ তৈরি করতে শুরু করে। যখন তার ছেলে একটু বড় হবে, তখন কম্পিউটারও তার কাছে প্রিয় বস্তু হয়ে দাঁড়াতে পারে। টোগেলিয়াস বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, স্যান্ডবক্স গেমগুলো (যেমন মাইনক্রাফ্ট, যেখানে খেলোয়াড়দের কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই তাদের সৃজনশীলতা অন্বেষণ করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়) কম্পিউটারে কাজ করা এবং বিভিন্ন কিছু করা সহজ করে তোলে।

তিনি বলেন, “মাইনক্রাফ্টের জগতে সরাসরি এবং সহজভাবে কিছু তৈরি করা যায় । কোড লেখার চেয়ে এটি অনেক সহজ।”

অন্য কথায়, আগেকার দিনে কম্পিউটার শিশুদের নির্মাণের স্বাভাবিক ইচ্ছাকে বাধা দিত। কিন্তু এখনকার এই গেমগুলো সেই ইচ্ছাকে পূরণ করে।

শুধু যে জিনিস তৈরি করা যায়, তা-ই নয়, আরও অনেক কারণে মাইনক্রাফ্ট গেমটি আকর্ষণীয়। গেমের স্যান্ডবক্স মোডে খেলোয়াড়রা নিজেদের ইচ্ছেমতো জিনিস তৈরি করতে পারে। তবে, এখানে সার্ভাইভাল মোডও আছে, যেখানে শত্রুদের সাথে লড়াই করতে হয়। মিনোট্টি বলেন, এছাড়া এই গেমটি খেলার মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্কও তৈরি হয়।

যখন তার বাচ্চারা তাদের বন্ধু বা চাচাতো-মামাতো ভাইদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে পারে না, তখন তারা অনলাইনে দেখা করতে পারে: “এটি একটি ভার্চুয়াল আড্ডার জায়গা হয়ে ওঠে।”

মাইনক্রাফ্টকে একটি ভার্চুয়াল খেলার মাঠ হিসেবে ভাবা যেতে পারে, যেখানে শিশুরা তাদের নিজস্ব স্থান খুঁজে নিতে পারে। কারণ এই গেমে বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ এবং খেলার শৈলী বাছাই করার সুযোগ তাদের রয়েছে।

টোগেলিয়াস গবেষণা করেছেন- কীভাবে মাইনক্রাফ্টে গেমারদের আচরণ তাদের ব্যক্তিত্বের দিকগুলো প্রকাশ করে।

তিনি মনে করেন, মাইনক্রাফ্ট গেমে খেলোয়াড়দের নিজেদের মতো করে খেলার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। ফলে, আর্কেড ক্লাসিক ‘অ্যাস্টেরয়েডস’ গেমের চেয়ে এই গেমে খেলোয়াড়রা নিজেদের ব্যক্তিত্ব ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারে। ‘অ্যাস্টেরয়েডস’ গেমে খেলোয়াড়দের মহাকাশ থেকে আসা পাথরগুলোতে গুলি করতে হয়, যেখানে নিজেদের মতো করে কিছু করার সুযোগ খুব কম।

টোগেলিয়াস তার গবেষণার জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের একটি প্রশ্নপত্র পূরণ করতে বলেন। এই প্রশ্নপত্র থেকে তাদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া যায়। এরপর, তিনি প্রশ্নপত্রের উত্তরের সঙ্গে মাইনক্রাফ্ট খেলার ধরন তুলনা করেন। গবেষণায় দেখা যায়, মাইনক্রাফ্টে খেলার ধরনের ওপর উত্তরদাতাদের ব্যক্তিত্বের কিছু বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিল রয়েছে।

যদিও টোগেলিয়াস শিশুদের নিয়ে গবেষণা করেননি, তার ধারণা, বড়দের মতো শিশুদের ব্যক্তিত্বও গেমে প্রকাশ পায়। তার গবেষণায় তিনি দেখেছেন, মাইনক্রাফ্ট খেলোয়াড়রা সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি কৌতূহলী এবং তাদের মধ্যে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবণতা কম। অর্থাৎ, তারা নতুন জিনিস জানতে চায় এবং অন্যের ক্ষতি করার চেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে বেশি আগ্রহী

টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী বেইলি ব্রাশিয়ার্স, যিনি মাইনক্রাফ্টকে মনস্তাত্ত্বিক গবেষণার কাজে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, স্যান্ডবক্স গেমগুলোর (যেমন: মাইনক্রাফট) বিস্তৃত সুযোগের কারণে এটি অনেকের কাছেই জনপ্রিয়। ব্রাশিয়ার্স গেমটির পাঁচটি প্রধান দিক চিহ্নিত করেছেন:

১. সামাজিক দিক ( যেমন: অন্যদের নিয়ে একসাথে খেলা)

২. নিজের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ ( যেমন: যুদ্ধ বা অনুসন্ধান)

৩. প্রকৌশল ( যেমন: বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা)

৪. সৃজনশীলতা ( যেমন: নতুন কিছু বানানো)

৫. টিকে থাকার চেষ্টা ( যেমন: বিপদ থেকে বাঁচা)

ব্রাশিয়ার্স বলেন, “সাধারণত একটি গেমে এই দিকগুলোর মধ্যে এক বা দুটি থাকে। যেমন, ফোর্টনাইট গেমটি মূলত সামাজিক খেলা এবং টিকে থাকার চেষ্টার উপর ভিত্তি করে তৈরি।”

শিশুরা মাইনক্রাফ্টে অনেক বেশি সময় কাটায়, যা তাদের অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম অভিভাবকদের উদ্বেগের কারণ। মেলিসা হোগেনবুমের একটি লেখায় স্ক্রিন টাইমের ভালো-মন্দ দিকগুলো আলোচনা করা হয়েছে।

মিনোট্টি বলেন, তার বাচ্চারা শুধু মাইনক্রাফ্ট খেলে না, তারা বাইরে বাস্কেটবলও খেলে। তবে, তিনি তাদের অতিরিক্ত ভিডিও গেম খেলা থেকে বিরত রাখেন এবং তাদের অনলাইন বন্ধুত্বের অনুরোধগুলো যাচাই করেন। তিনি বলেন, “আমরা তাদের ইন্টারনেটে অবাধে ছেড়ে দিই না।”

যুক্তরাজ্যের শিশুদের দাতব্য সংস্থা এনএসপিসিপি মাইনক্রাফ্ট খেলার সময় শিশুদের নিরাপত্তার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে। মাইনক্রাফ্টে শিশুদের ওপর নির্যাতন ও অপব্যবহারের মতো ঘটনা ঘটেছে। রোব্লক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের গেম প্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে রাখতে বলেছেন। যদি তারা ক্ষতিকর কিছু দেখার ভয়ে থাকেন।

মিনোট্টি মনে করেন তার বাচ্চারা নিরাপদে মাইনক্রাফ্ট খেলতে পারে। কারণ তিনি তাদের ওপর নজর রাখেন। তিনি বলেন, এটি একটি ডিজিটাল খেলার মাঠের মতো। মাইনক্রাফ্টের মাধ্যমে মানুষ নতুন উপায়ে যোগাযোগ করতে পারে। কোভিড-১৯ এর সময় অধ্যাপকরা মাইনক্রাফ্টের মাধ্যমে অনলাইনে পড়িয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের শিক্ষকরা মাইনক্রাফ্ট এডুকেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের গ্যেলিক ভাষা শেখার জন্য মাইনক্রাফ্টে একটি গেম তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে রেস্টুরেন্ট ও খাবার তৈরি করে ভাষা শেখানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মাইনক্রাফ্ট শিক্ষার্থীদের স্কুলের কাজে আগ্রহ বাড়ায়। মাইনক্রাফ্ট খেললে খেলোয়াড়রা গভীরভাবে মনোযোগী হয়। এটি তাদের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

তবে, মাইনক্রাফ্ট সবার কাছে সমান জনপ্রিয় নয়। অস্ট্রেলিয়ায় একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি মাইনক্রাফ্ট খেলে। লেখকরা বলেন, ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য গেমগুলো আকর্ষণীয় হওয়া উচিত। কারণ, গেমগুলো শিশুদের ডিজিটাল দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।

মিনোট্টি তার মেয়েদের কম্পিউটার দক্ষতা নিয়ে চিন্তিত নন। মাইনক্রাফ্ট তাদের পছন্দের খেলা। তাদের লেগো দিয়ে খেলার জায়গা নেই। তাই তারা মাইনক্রাফ্টে খেলে। তিনি বলেন, মাইনক্রাফ্টে তারা তাদের কল্পনার সব লেগো ব্লক ব্যবহার করতে পারে।

...

আফরান নিশোর হাঁটু ও স্পাইনের জটিলতা, জানালেন বাস্তব অবস্থা

দীর্ঘদিন ধরেই হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। পাশাপাশি রয়েছে মেরুদণ্ডের সমস্যাও। তবে এত দিন বিষয়টি প্রকাশ্যে জানাননি তিনি। চলতি মাসের শুরুতে এক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো নিজের শারীরিক জটিলতার কথা প্রকাশ করেন নিশো। তিনি বলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে আরও ফিট হতে হবে। পুরোপুরি অ্যাকটিভ লাইফ যাপন করতে হলে আমার হাঁটুর সার্জারি করাতে হবে।’ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে সম্প্রতি সবার দুশ্চিন্তা কমিয়ে নিশো জানিয়েছেন, তিনি এখন অনেকটাই ভালো আছেন।

নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নিশো বলেন, ‘পা এখন মোটামুটি ভালো আছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক ও অ্যাকটিভ লাইফে ফিরতে হলে হাঁটুর লিগামেন্ট সমস্যার জন্য সার্জারি করাতে হবে। আর স্পাইনের যে সমস্যা রয়েছে, সেটার জন্য নিয়মিত থেরাপি ও এক্সারসাইজ চালিয়ে যেতে হবে। আমি প্রায়ই নিচু হয়ে বসে থাকি, বা অনেকক্ষণ একই জায়গায় বসে থাকি। এসব অভ্যাস থেকে বের হতে পারলে হয়তো একটু স্বস্তির জীবন যাপন করতে পারব।’

নিশো জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে নাটকের শুটিং চলাকালে বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু এই জটিলতা। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমি আমার সীমাবদ্ধতা বা কষ্টের কথা সাধারণত প্রকাশ করি না। নিজেই সমাধান করার চেষ্টা করি। মানসিকভাবে কখনো ভেঙে পড়ি না, নিজেকেও ভাঙতে দিই না। সাত-আট বছর আগে কাউলায় শুটিং করতে গিয়ে বাইক দুর্ঘটনায় পড়ি। হাঁটুতে মারাত্মক আঘাত পাই। তখন চিকিৎসক আমাকে এক মাস বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন।’

কিন্তু ব্যস্ত শিডিউলের কারণে মাত্র তিন দিনের বিরতি নিতে পেরেছিলেন নিশো। এরপরই আবার শুটিংয়ে ফিরতে হয় তাকে। তিনি বলেন, ‘তখন এক মাস শুটিং বন্ধ রাখলে সেটা অনেক বড় অপরাধের মতো হতো। তাছাড়া আমি নিজেও একটু উদাসীন ছিলাম। কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম, লিগামেন্টের সমস্যা থাকলেও কিছু ব্যায়াম করতাম। একসময় ভেবেছিলাম হয়তো পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছি।’

কিন্তু আসলে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি। মাঝে মধ্যেই হাঁটুর সমস্যা কাবু করে ফেলে। গত কয়েক বছরে একাধিকবার অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে নিশোকে। তিনি বলেন, ‘এই ব্যথা অনেকটা ইলেকট্রিক শকের মতো। যখন হয়, তখন হঠাৎ করে ফেলে দেয়। আশফাক নিপুনের একটি কাজের সময় এমনটা হয়েছে, অমির একটি নাটক করার সময়ও হয়েছিল। এমনকি ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার পর ক্রিকেট খেলতে গিয়েও দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম। তারপরও সব সময় মনে করেছি আমি ভালো হয়ে গেছি। সর্বশেষ কিছুদিন আগে বাসায় ছেলের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে আবারও ইনজুরড হই। সব মিলিয়ে এখন মনে হচ্ছে, বিশ্রামে থাকাটা আমার জন্য অত্যন্ত জরুরি।’

ক্যাটরিনা কাইফ কি মা হতে চলেছেন? ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চরম জল্পনা, ভক্তদের কৌতূহল তুঙ্গে

বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি ক্যাটরিনা কাইফ ও ভিকি কৌশলকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে তাদের আলিবাগ ভ্রমণের মুহূর্ত ধরা পড়ে, যেখানে ক্যাটরিনাকে ঢিলেঢালা পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। ভিডিওটি সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে গুজব—"ক্যাটরিনা কি মা হতে চলেছেন?"

ভিডিওটিতে দেখা যায়, ক্যাটরিনা ও ভিকি একসঙ্গে একটি নৌকায় উঠছেন। ক্যাটরিনার চলাফেরা ও তাঁর পোশাকের ধরন দেখে অনেকেই মনে করছেন তিনি হয়তো গর্ভবতী এবং নিজের 'বেবি বাম্প' ঢাকতেই এমন পোশাক বেছে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ক্যাটরিনা বা ভিকি-র পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। এমনকি তাঁদের পরিবারের দিক থেকেও এই গুঞ্জনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন যে এই জল্পনা নিছকই অনুমানভিত্তিক এবং এমন সংবেদনশীল বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়।

এদিকে, গুঞ্জন আরও উস্কে দিয়েছে কিছু ভক্ত-নির্মিত ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, যেখানে ক্যাটরিনা ও ভিকিকে নিয়ে তৈরি একটি এডিটেড ছবি ছড়িয়ে পড়েছে—সেখানে লেখা: “We become a family of three in 2025.” পরবর্তীতে প্রমাণ হয়, এটি ভক্তদের তৈরি একটি কল্পিত পোস্ট এবং এটি বাস্তব কোনো ঘোষণা নয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে করেন ক্যাটরিনা কাইফ ও ভিকি কৌশল। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা সময়ে নানা রকম গুঞ্জন উঠে এসেছে। তবে এই জুটি সবসময়েই নিজেদের সম্পর্ককে ব্যক্তিগত রাখতেই বেশি পছন্দ করে।


এই মুহূর্তে ক্যাটরিনার গর্ভধারণ সংক্রান্ত যে সমস্ত খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেগুলো অধিকাংশই অনির্ভরযোগ্য এবং ভক্তদের জল্পনা নির্ভর। তাঁদের পক্ষ থেকে কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা আসা পর্যন্ত এমন গুজবে কান না দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করছেন অনেকে।

...

রাশমিকা বয়স কত হলো?

দক্ষিণী সিনেমার সুপার স্টার রাশমিকা মান্দানা এখনো ৩০ বছরে পা দেননি। অল্প সময়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে একের পর এক সফল সিনেমার সঙ্গে নাম লিখেয়েছেন এ অভিনেত্রী। বলিউড থেকে দক্ষিণী বিনোদন ভুবন দুই জায়গাতেই কাজ করে যাচ্ছেন এ তারকা।

আল্লু অর্জুন থেকে শুরু করে সালমান খান কিংবা রণবীর কাপুর, এরই মধ্যে প্রথম সারির সব বলিউড তারকাদের সঙ্গে কাজ করা ফেলেছেন এ অভিনেত্রী। আসছে ৫ এপ্রিল ২৯ বছরে পদার্পণ করবেন রাশমিকা। জন্মের মাসের শুরুতে তার নতুন উপলদ্ধি তৈরি হয়েছে।

যদিও বয়স যত বাড়ে জন্মদিন নিয়ে উপলব্ধি পাল্টায়। যদিও রাশমিকার তেমন কিছুই হয়নি। তিনি নিজেকে নিয়ে ভীষণ খুশি। এ প্রসঙ্গে রাশমিকা বলেছেন, ‘এটা আমার জন্মদিনের মাস, আমি খুবই উত্তেজিত। আমি সব সময় শুনেছি যে বয়স যত বাড়ে, জন্মদিন উদযাপনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে মানুষ। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো।’

রাশমিকা আরও বলেন, ‘বয়স যত বাড়ে, জন্মদিন উদযাপনে তত বেশি উতলা হয়ে উঠছি। বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি এরই মধ্যেই ২৯ বছরে পা দিয়েছি। আমি আরও একটা বছর সুস্থ, সুখী এবং নিরাপদে কাটিয়ে দিলাম! উদযাপনের জন্য যথেষ্ট কারণটা!’

...

বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তানি ব্যান্ড

পাকিস্তানের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড বায়ান প্রথমবারের মতো কনসার্ট করতে বাংলাদেশে আসছে। এই সফর দিয়ে দলটির বিশ্ব ট্যুর শুরু হবে।

বাংলাদেশ সফর নিয়ে বায়ানের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় ৩০ মার্চ। ভিডিওতে দলটির ভোকালিস্ট আসফার হুসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘কেমন আছো বাংলাদেশ, আমাদের সফরের সঙ্গে যুক্ত হতে প্রস্তত সবাই?’ এর পরই ভিডিওটি বাংলাদেশে তাদের ভক্তদের নজর কারে।

বায়ানের ‘সফর ট্যুর’ শিরোনামের এই কনসার্টটি আয়োজন করেছে দেশের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছাড়া হয়েছে টিকিটও। তবে ভেন্যু এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

পাকিস্তানের সংগীত জগতের আলোচিত ব্যান্ড বায়ান। ‘দ্য সফর ট্যুর’ শিরোনামে তারা পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কনসার্ট করবে।

তাদের জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘নেহি মিলতা’, ‘মেরা মুসাফির’, ‘সুনো’, ‘ফারদা’, ‘কাহা যাউ’ ইত্যাদি।

বায়ান ব্যান্ডের সদস্য সংখ্যা : আসফার হুসাইন, শাহরুখ আসলাম, মনসুর লাশারি, মুকিত শাহজাদ, হায়দার আব্বাস।

...

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’ কেন ভাইরাল?

সামাজিক মাধ্যম খুললেই এখন একটাই গান, ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। সেই গান দিয়ে মিম, রিলের ছড়াছাড়ি চারপাশে। হাসির ভিডিও, কান্নার ভিডিও, মজার ভিডিও, কোথায় ব্যবহার হচ্ছে না সেই গান!। এমনকি পিকনিকে যাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে পার্তিতেও সেই একই গান। কিন্তু প্রশ্ন হল এই গানের আসল মানে কী, জানেন?

এটি আসলে ভারতের উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সঙ্গীত শিল্পী সত্য অধিকারীর গাওয়া এই গান। উড়িষ্যার কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা গান। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। ছয় বছর পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।

এই গানে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন মঞ্চ অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও-র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক।

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ/ ধনকে চিনলি তুই ননী সিনা/ মনকে চিনলি নাই/ সুনাকে চিনলি, মনাকে চিনলি/ মানুষ চিনলি নাই/ ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। এই গান এখন চারিদিকে ভাইরাল। কিন্তু কী মানে এই গানের জানেন?

সত্যিই লজ্জার, ননী/ তুমি শুধুই সম্পত্তি দেখলে, কিন্তু আমার ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য দিতে পারলে না/ তুমি সোনা ও দামি গয়না চিনতে পেরেছ। কিন্তু, প্রকৃত মানুষ চিনতে পারোনি/ আমার সম্পত্তির অভাব ছিল বলে তুমি আমাকে এ ভাবে ছেড়ে দিয়েছ/ যার টাকা পয়সা আছে তার মন নাই/ আমার মনকে দেখলি না ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।

মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছিলেন মানবভঞ্জন নায়েক। ভিডিওটির প্রযোজক ও গানটির রচয়িতা সীতারাম আগরওয়াল। গেয়েছিলেন সত্যনারায়ণ অধিকারী। পর্দায় দেখা গিয়েছে বিভূতি বিশ্বালকে। মঞ্চশিল্পী হিসেবে খ্যাতিমান ওই অভিনেতাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।

কে জানত, দুই দশক পরে আচমকাই ভাইরাল হয়ে যাবে গানটি। ইউটিউবে ভিউ ছাড়িয়েছে প্রায় দুই কোটি। নতুন বছরে সকলের ফোনে বা অন্য ডিভাইসে বাজছে, বেজেই চলেছে ‘ছি ছি রে ননী’।

...

খেলাধুলা

মেসিকে ছাড়াই জিতলো আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টাইন মহাতারকা না থাকলেও ঠিকই দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-নীল শিবির। আসন্ন কোপা আমেরিকাকে সামনে রেখে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। তবে চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলা হয়নি লিওনেল মেসির। 

 

আর্জেন্টিনার হয়ে গোল তিনটি করেছেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এনজো ফার্নান্দেজ এবং জিওভানি লো সেলসো। শনিবার (23 মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন ফিনান্সিয়াল ফিল্ড স্টেডিয়ামে এল সালভাদরের বিপক্ষে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়ে ৩-০ গোলের বড় ছিনিয়ে নিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

 

ম্যাচের ১৬তম মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার কর্ণার কিক থেকে বাড়ানো বলে দারুণ এক হেডে লে আলবিসেলেস্তেদের লিড এনে দেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় আর্জেন্টিনা। এরপর ক্রমেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে আক্রমণ তৈরি করে তারা। ফলে ম্যাচের শুরুতেই লিডের দেখা পায় স্কালোনির শিষ্যরা।

 

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে সমতা ফেরানোর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সালভাদর। তবে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলবঞ্চিত হয় তারা। লিড নেওয়ার পর দলটির বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ীরা।

 

প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। চেলসির এই তারকার দর্শনীয় এক গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

 

লো সেলসোর গোলে ৩-০ ব্যবধানে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে স্কালোনির শিষ্যরা। বিরতি থেকে ফিরেও ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮০ ধাপ পিছিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দাপট বজায় রাখে স্কালোনির শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের ব্যবধান বাড়ায় লে আলবিসেলেস্তেরা।

 

এবং, দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আগামী ২৬ মার্চে যুক্তরাষ্ট্রেই মাঠে নামবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা