বরিশালকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চট্টগ্রাম

খেলাধুলা | ফোরপিলার্সবিডি.কম
প্রকাশিত:
বরিশালকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চট্টগ্রাম

দুই পেসার শহিদুল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেনের বোলিং নৈপুন্যে বিপিএলে তামিম-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ’র ফরচুন বরিশালকে ১৬ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো চট্টগ্রাম।

সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সের সমান ১০ পয়েন্ট হলো ৭ ম্যাচ খেলা চট্টগ্রামের। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে রংপুর শীর্ষে, চট্টগ্রাম দ্বিতীয়স্থানে আছে। ৭ ম্যাচে ৩ জয় ও ৪ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে বরিশাল।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তুলে চট্টগ্রাম। ১৯ বলে ১০ রান করে বরিশালের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের শিকার হন ওপেনার তানজিদ।

তানজিদ ফেরার পর চট্টগ্রামের রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার অস্ট্রেলিয়ার জশ ব্রাউন ও ব্রুস। ব্রাউন্ডের সাথে ২০ বলে ৩২ ও শাহাদাত নিয়ে ৩১ বলে ৩৩ রান যোগ করেন ব্রুস। ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২৩ বলে ৩৮ রান করা ব্রাউনকে বোল্ড করেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

মিডল অর্ডারে শাহাদাত ১৫, আফগানিস্তান নাজিবুল্লাহ জাদরান ৪ এবং সৈকত আলি ১১ রানে আউট হলেও ব্রুসের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেন ব্রুস। 

বরিশালের পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ ইমরান ২টি, সাইফুদ্দিন- পাকিস্তানের আব্বাস আফ্রিদি ও তাইজুল ১টি করে উইকেট নেন।

১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে ২৮ রানের সূচনা করেন বরিশালের দুই ওপেনার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ১৬ রান করা শেহজাদকে থামিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার আল-আমিন হোসেন।

একই ওভারের শেষ বলে তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকারকে বোল্ড করেন আল-আমিন। পরের ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ শিকার হন ওমানের পেসার বিলাল খানের। ১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল।

দলকে চাপমুক্ত করতে চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েন তামিম ও মুশফিক। পেসার সৈকত আলির শিকার হয়ে ১৩ বলে ৯ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরেন মুশফিক। অন্যপ্রান্তে হাফ-সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে থামেন তামিম। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৬ বলে ৪৯ রান করেন পেসার শহিদুল ইসলামের শিকার হওয়া তামিম।

তামিম ফেরার পর পাকিস্তানের শোয়েব মালিক ১৪ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩ রানের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বরিশাল। শেষ দিকে সাইফুদ্দিনের ২টি করে চার-ছক্কায় ১৮ বলে অপরাজিত ৩০ রানের পরও ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৯ রানে থামে বরিশাল। 

তাতে ১৬ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

শহিদুল ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩টি ও আল-আমিন ৩১ রানে ২ উইকেট নেন।

খেলাধুলা বিভাগের আরও খবর

মেসিকে ছাড়াই জিতলো আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টাইন মহাতারকা না থাকলেও ঠিকই দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-নীল শিবির। আসন্ন কোপা আমেরিকাকে সামনে রেখে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। তবে চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলা হয়নি লিওনেল মেসির। 

 

আর্জেন্টিনার হয়ে গোল তিনটি করেছেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এনজো ফার্নান্দেজ এবং জিওভানি লো সেলসো। শনিবার (23 মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন ফিনান্সিয়াল ফিল্ড স্টেডিয়ামে এল সালভাদরের বিপক্ষে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়ে ৩-০ গোলের বড় ছিনিয়ে নিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

 

ম্যাচের ১৬তম মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার কর্ণার কিক থেকে বাড়ানো বলে দারুণ এক হেডে লে আলবিসেলেস্তেদের লিড এনে দেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় আর্জেন্টিনা। এরপর ক্রমেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে আক্রমণ তৈরি করে তারা। ফলে ম্যাচের শুরুতেই লিডের দেখা পায় স্কালোনির শিষ্যরা।

 

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে সমতা ফেরানোর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সালভাদর। তবে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলবঞ্চিত হয় তারা। লিড নেওয়ার পর দলটির বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ীরা।

 

প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। চেলসির এই তারকার দর্শনীয় এক গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

 

লো সেলসোর গোলে ৩-০ ব্যবধানে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে স্কালোনির শিষ্যরা। বিরতি থেকে ফিরেও ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮০ ধাপ পিছিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দাপট বজায় রাখে স্কালোনির শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের ব্যবধান বাড়ায় লে আলবিসেলেস্তেরা।

 

এবং, দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আগামী ২৬ মার্চে যুক্তরাষ্ট্রেই মাঠে নামবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা

ভাষা শহিদদের স্মরণ করলেন টাইগাররা

মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেওয়ার নজির একমাত্র আছে বাঙালিদের। নজিরবিহীন এ ঘটনাটি ঘটেছিলো ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশেষ এই দিবসের প্রথম প্রহর থেকেই ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহিদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে গোটা দেশের মানুষ। সেইসঙ্গে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি বাঙালিরাও নিজ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করছেন।

আর সারাদেশের পাশাপাশি বিপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকা ক্রিকেটাররাও মহান শহিদ দিবসে ভাষার জন্য আত্মদানকারী বীরদের ভুলে যাননি তারা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শহিদ দিবসকে ঘিরে নানা পোস্ট করছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমরা।

এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান লিখেছেন, ‘ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাইকে জানাই একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা।’

দেশসেরা ওপেনার ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল লেখেন, মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহিদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

টাইগারদের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, সর্বস্ব দিয়ে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বাঙালি জাতি পিছপা হয়নি কখনোই। ৫২’র ভাষা আন্দোলনেও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছিল যেই সকল ভাষা শহিদেরা, তাদের অপরিমেয় ত্যাগই আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহিদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হোক সকল বাঙালির হৃদয়। ২১ আমার অহংকার।

টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লিখেছেন, ‘১৯৫২ সালে শহিদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষার স্বাধীনতা। তাঁদের এই হার না মানা সংগ্রাম প্রতিনিয়ত আমাদের দেয় এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহিদদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।’

টাইগারদের তরুণ তুর্কি তাওহীদ হৃদয়ও ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, চেতনার পথে দ্বিধাহীন অভিযাত্রী বেশে বাঙালিকে সর্বদা চলার প্রেরণা জোগায় একুশ। আজ সেই অমর একুশে। শোক বিহ্বলতা, বেদনা আর আত্মত্যাগের অহংকারে উদ্বেলিত হওয়ার দিন আজ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী।

মোস্তাফিজের মাথায় বলের আঘাত, হাসপাতালে ভর্তি

নেটে অনুশীলনের সময় মাথায় বলের আঘাত পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। রক্তাক্ত অবস্থায় মোস্তাফিজকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নেটে আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দল অনুশীলন করছিল। মোস্তাফিজ নেটে বোলিং করার সময়ই এই ঘটনা ঘটে।

একটি ডেলিভারি দিয়ে মোস্তাফিজ ফিরে যাচ্ছিলেন নিজের বোলিং মার্কে, আরেকটি ডেভিলারি দেয়ার জন্য। এ সময় অন্য নেট থেকে ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ম্যাথ্যু ফোর্ডের খেলা একটি শট পেছনে থেকে মোস্তাফিজের মাথায় আঘাত করে।সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে লুটিয়ে পড়েন জাতীয় দলের এই বাঁ-হাতি কাটার মাস্টার। মাথা থেকে রক্তও বের হতে দেখা যায়। দ্রুত দলের চিকিৎসকরা এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। শেষে দ্রুত তাকে চট্টগ্রামের অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। তাঁর শিকার ১১ উইকেট। ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট ছিল এবারের বিপিএলে মোস্তাফিজের সেরা বোলিং।

২০২৬ বিশ্বকাপের ম্যাচসূচি ও ভেন্যু ঘোষণা

২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের সূচী প্রকাশ করেছে ফিফা। উদ্বোধনী ম্যাচ মেক্সিকোতে আর ফাইনাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে। বৃহৎ পরিসরে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে তিন দেশ কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের আসর বসতে যাচ্ছে।  ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে বেশ কিছু নতুনত্ব নিয়ে। ২০২৬ বিশ্বকাপে ম্যাচ ও দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪৮টি দলের ১০৪টি ম্যাচ হবে। ১১ জুন উদ্বোধনী ম্যাচ হবে মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামে। ১৪ ও ১৫ জুলাই দুই সেমিফাইনাল ডালাস ও আটলান্টায় হবে। আর ১৯ জুলাই নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে লড়বে শিরোপা প্রত্যাশীরা।

২০২৬ বিশ্বকাপের ম্যাচসূচি ও ভেন্যু ঘোষণা

ফিফা টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্বের ম্যাচের সূচি ও ভেন্যু ঘোষনা করা হয়। যেখানে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও উপস্থিত ছিলেন। ফিফা জানিয়েছে— ১১ জুন ২০২৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামে। ১৯ জুলাই নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব চলবে ২০২৬ সালের ১১ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত। শেষ ৩২ এর ম্যাচগুলো ২৯ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত হবে। মেক্সিকোর গুয়াদালাহারা ও যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া বাদে বাকি ১৪টি ভেন্যুতে হবে এই রাউন্ডের ম্যাচগুলো। এই রাউন্ডের দুটি করে ম্যাচ হবে লস অ্যাঞ্জেলস ও ডালাসে।

পরবর্তীতে শেষ ১৬ রাউন্ডের খেলা চলবে ৪ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত। কোয়ার্টার ফাইনাল হবে ৯ থেকে ১১ জুলাই, চারটি ম্যাচের ভেন্যু লস অ্যাঞ্জেলস, কানসাস সিটি, মায়ামি ও বোস্টন। দুটি সেমিফাইনাল হবে ডালাস ও আটলান্টায় যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ জুলাই। মায়ামিতে ১৮ জুলাই হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। আর ১৯ জুলাই নিউজার্সিতে হবে শিরোপার লড়াই।

গত বিশ্বকাপে ৩২ দলের অংশগ্রহণে ম্যাচ সংখ্যা ছিল ৬৪টি। এবার ৪৮ দলের আসরে হবে ১০৪ ম্যাচ। স্বাগতিকদের একটি কানাডা তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে টরেন্টোতে, আরেক আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ম্যাচ রাখা হয়েছে লস এঞ্জেলসে। তিন দেশের ১৬টি ভেন্যুতে হবে ম্যাচগুলো।

২০২৬ বিশ্বকাপ ফাইনালের ভেন্যু কোথায়?

গ্রুপ পর্বের ১০ ম্যাচসহ ১৩টি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে কানাডার দুই শহর টরেন্টো ও ভ্যানকুবার। মেক্সিকোতেও হবে ১৩ ম্যাচ। মেক্সিকো সিটি, গুয়াদালজারা ও মনেটেরিতে হবে খেলা। যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে টুর্নামেন্টের বাকি ৭৮টি ম্যাচ মাঠে গড়াবে।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ আয়োজনের সৌভাগ্য রয়েছে আজকেতা স্টেডিয়ামের। এ বেশি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন হয়নি অন্য কোথাও।

যেখানে ১৯৭০ বিশ্বকাপে ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল, পেলে জিতেছিলেন তার তৃতীয় বিশ্বকাপ। একই ভেন্যুতে শ্রেষ্ঠত্বে পূর্ণতা দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। কিংবদন্তি পেলের বিশ্বকাপ জয়ের ১৬ বছর পর এই স্টেডিয়ামে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। মেক্সিকোর এই বিখ্যাত স্টেডিয়ামে ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়াও সবমিলিয়ে আরও ১৭টি ম্যাচ হয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনীসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ হবে আজকেতায়।