রাশমিকা বয়স কত হলো?

বিনোদন | ফোরপিলার্সবিডি.কম
প্রকাশিত:
রাশমিকা বয়স কত হলো?

দক্ষিণী সিনেমার সুপার স্টার রাশমিকা মান্দানা এখনো ৩০ বছরে পা দেননি। অল্প সময়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে একের পর এক সফল সিনেমার সঙ্গে নাম লিখেয়েছেন এ অভিনেত্রী। বলিউড থেকে দক্ষিণী বিনোদন ভুবন দুই জায়গাতেই কাজ করে যাচ্ছেন এ তারকা।

আল্লু অর্জুন থেকে শুরু করে সালমান খান কিংবা রণবীর কাপুর, এরই মধ্যে প্রথম সারির সব বলিউড তারকাদের সঙ্গে কাজ করা ফেলেছেন এ অভিনেত্রী। আসছে ৫ এপ্রিল ২৯ বছরে পদার্পণ করবেন রাশমিকা। জন্মের মাসের শুরুতে তার নতুন উপলদ্ধি তৈরি হয়েছে।

যদিও বয়স যত বাড়ে জন্মদিন নিয়ে উপলব্ধি পাল্টায়। যদিও রাশমিকার তেমন কিছুই হয়নি। তিনি নিজেকে নিয়ে ভীষণ খুশি। এ প্রসঙ্গে রাশমিকা বলেছেন, ‘এটা আমার জন্মদিনের মাস, আমি খুবই উত্তেজিত। আমি সব সময় শুনেছি যে বয়স যত বাড়ে, জন্মদিন উদযাপনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে মানুষ। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো।’

রাশমিকা আরও বলেন, ‘বয়স যত বাড়ে, জন্মদিন উদযাপনে তত বেশি উতলা হয়ে উঠছি। বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি এরই মধ্যেই ২৯ বছরে পা দিয়েছি। আমি আরও একটা বছর সুস্থ, সুখী এবং নিরাপদে কাটিয়ে দিলাম! উদযাপনের জন্য যথেষ্ট কারণটা!’

বিনোদন বিভাগের আরও খবর

বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তানি ব্যান্ড

পাকিস্তানের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড বায়ান প্রথমবারের মতো কনসার্ট করতে বাংলাদেশে আসছে। এই সফর দিয়ে দলটির বিশ্ব ট্যুর শুরু হবে।

বাংলাদেশ সফর নিয়ে বায়ানের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় ৩০ মার্চ। ভিডিওতে দলটির ভোকালিস্ট আসফার হুসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘কেমন আছো বাংলাদেশ, আমাদের সফরের সঙ্গে যুক্ত হতে প্রস্তত সবাই?’ এর পরই ভিডিওটি বাংলাদেশে তাদের ভক্তদের নজর কারে।

বায়ানের ‘সফর ট্যুর’ শিরোনামের এই কনসার্টটি আয়োজন করেছে দেশের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছাড়া হয়েছে টিকিটও। তবে ভেন্যু এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

পাকিস্তানের সংগীত জগতের আলোচিত ব্যান্ড বায়ান। ‘দ্য সফর ট্যুর’ শিরোনামে তারা পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কনসার্ট করবে।

তাদের জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘নেহি মিলতা’, ‘মেরা মুসাফির’, ‘সুনো’, ‘ফারদা’, ‘কাহা যাউ’ ইত্যাদি।

বায়ান ব্যান্ডের সদস্য সংখ্যা : আসফার হুসাইন, শাহরুখ আসলাম, মনসুর লাশারি, মুকিত শাহজাদ, হায়দার আব্বাস।

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’ কেন ভাইরাল?

সামাজিক মাধ্যম খুললেই এখন একটাই গান, ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। সেই গান দিয়ে মিম, রিলের ছড়াছাড়ি চারপাশে। হাসির ভিডিও, কান্নার ভিডিও, মজার ভিডিও, কোথায় ব্যবহার হচ্ছে না সেই গান!। এমনকি পিকনিকে যাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে পার্তিতেও সেই একই গান। কিন্তু প্রশ্ন হল এই গানের আসল মানে কী, জানেন?

এটি আসলে ভারতের উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সঙ্গীত শিল্পী সত্য অধিকারীর গাওয়া এই গান। উড়িষ্যার কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা গান। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। ছয় বছর পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।

এই গানে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন মঞ্চ অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও-র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক।

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ/ ধনকে চিনলি তুই ননী সিনা/ মনকে চিনলি নাই/ সুনাকে চিনলি, মনাকে চিনলি/ মানুষ চিনলি নাই/ ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। এই গান এখন চারিদিকে ভাইরাল। কিন্তু কী মানে এই গানের জানেন?

সত্যিই লজ্জার, ননী/ তুমি শুধুই সম্পত্তি দেখলে, কিন্তু আমার ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য দিতে পারলে না/ তুমি সোনা ও দামি গয়না চিনতে পেরেছ। কিন্তু, প্রকৃত মানুষ চিনতে পারোনি/ আমার সম্পত্তির অভাব ছিল বলে তুমি আমাকে এ ভাবে ছেড়ে দিয়েছ/ যার টাকা পয়সা আছে তার মন নাই/ আমার মনকে দেখলি না ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।

মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছিলেন মানবভঞ্জন নায়েক। ভিডিওটির প্রযোজক ও গানটির রচয়িতা সীতারাম আগরওয়াল। গেয়েছিলেন সত্যনারায়ণ অধিকারী। পর্দায় দেখা গিয়েছে বিভূতি বিশ্বালকে। মঞ্চশিল্পী হিসেবে খ্যাতিমান ওই অভিনেতাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।

কে জানত, দুই দশক পরে আচমকাই ভাইরাল হয়ে যাবে গানটি। ইউটিউবে ভিউ ছাড়িয়েছে প্রায় দুই কোটি। নতুন বছরে সকলের ফোনে বা অন্য ডিভাইসে বাজছে, বেজেই চলেছে ‘ছি ছি রে ননী’।

ফের ঐশ্বরিয়ার হাতে বিয়ের আংটি, তবে কী বিচ্ছেদ হচ্ছে না? 

বচ্চন পরিবারের অশান্তির জল্পনা নতুন নয়। ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েও নানা রটেছে এবং রটে চলেছে। কিছুদিন আগে দুবাই যাত্রার সময় ঐশ্বরিয়ার আঙুলে তাঁর বিয়ের আংটিখানি দেখা যায়নি। তাতেই নতুন করে তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের জল্পনায় ঘৃতাহুতি পড়ে। তবে প্যারিস ফ্যাশন উইকে বিয়ে ভাঙার জল্পনা এক পোজেই নস্যাৎ করে দিলেন বচ্চন পরিবারের বধূ। আবারও তাঁর হাতে দেখা গেল অভিষেকের পরানো আংটিখানি।

একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে দুবাই গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। সেখানকার ছবি ও ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজেনদের একাংশের নজরে পড়ে অভিনেত্রীর হাতে তাঁর বিয়ের আংটি নেই। তাতই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদ? আর সেই কারণেই আংটি খুলে ফেলেছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।

২০০৭ সালে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়। বচ্চন পরিবারের বধূ হন অভিনেত্রী। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার একমাত্র মেয়ে আরাধ্যার জন্ম হয়। বলিউডে কানাঘুষো, শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতার সঙ্গে নাকি ঐশ্বরিয়ার একেবারেই বনিবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর ও অভিষেকের সম্পর্কও নাকি টালমাটাল। রটনা, মেয়েকে নিয়ে নাকি মা বৃন্দা রাইয়ের সঙ্গে থাকছেন অভিনেত্রী। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর হাতে আংটি নেই দেখে অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন।

কিন্তু প্যারিস ফ্যাশন উইকে সমস্ত জল্পনা, কল্পনার জবাব ঐশ্বরিয়া আংটি হাতেই দিলেন। এবারে প্যারিস ফ্যাশন উইকের র‌্যাম্পে সাটিনের লাল গাউন পরেছেন বচ্চন পরিবারের বধূ। তার সঙ্গেই ছিল বোল্ড রেড লিপস্টিক। বিশাল একটি ভেইল ছিল ঐশ্বরিয়ার এই পোশাকে। যে প্রসাধনী সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে মার্জার সরণিতে হেঁটেছিলেন, তারই ক্যাচলাইন লেখা ছিল তাতে।
 

সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে এবার কি বললেন সামিরা?

সাবেক স্বামী সালমান শাহর মৃত্যু প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন সামিরা। বেসরকারি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সামিরা বলেছেন, ‘আত্মহত্যা যারা করে, তারা তো কিছু বলে করে না। এখন নীলা চৌধুরী বারবার বলেন, সামিরাকে কেন রিমান্ডে নেওয়া হয় না। একটা বাসায় একটা বাচ্চা যখন আত্মহত্যা করে, সে বাচ্চার মা–বাবাকে কি আমরা উঠিয়ে নিয়ে চলে যাই? তাহলে আমাকে কেন উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে? ইট ইজ সুইসাইড।’

কেন এটি সুইসাইড, সেই ব্যাখ্যা নিজেই দিলেন সামিরা। বললেন, ‘ও (ইমন) মেন্টালি সুইসাইডাল বাই নেচার। এর আগে তিনবার সুইসাইডের চেষ্টা করেছে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালের রেকর্ড চেক করলে জানা যাবে। ওখানে দুবারের রেকর্ড আছে। আরেক হাসপাতালে একবার আছে। তিনটাই আমার বিয়ের আগে। তিনটা ঘটনাই আমি জানি। একবার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে করেছিল। আরেকবার আমাকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য করেছে। আরেকবার ওর কিছু একটা হয়েছিল, সেটার জন্যও করেছিল।’

কথা প্রসঙ্গে সামিরা এ–ও বললেন, ‘একটা কথা বলতে চাই, ইমন কিন্তু ছবিতে ক্যারিয়ার করতে চায়নি। সে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু পড়াশোনা যখন এসএসসি, তখন একটা ঘটনার কারণে, এরশাদ (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ)–সংক্রান্ত, নীলা চৌধুরীকে নিয়ে, সেই ঘটনায় ওই সময় নীলা চৌধুরী জেলেও যান, ময়মনসিংহ কারাগারে ছিলেন। ইমন কিন্তু একদিনও মাকে দেখতে যায়নি জেলে। কেন? তখন তো ওর লাইফে আমি নাই। আমার তো ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছে। আর এই ঘটনা জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চের দিকের। ইমন কিন্তু তাঁর মাকে মা, আম্মা এসব ডাকত না। মহিলা বলে ডাকত। আমাদের সামনে অবশ্য ওভাবে বলত না। শুটিং সেটে যখন নীলা চৌধুরী যেতেন, তখন ইমন বলত, মহিলা আসছে। ডলি জহুর আন্টি একদিন সেটে থাকা অবস্থায় এমন ঘটনা ঘটেছিল। তখন বকা দিয়ে ইমনকে বলেছিল, “তুই এভাবে ডাকছিস কেন? তোর তো মা হয়।” ইমন তখন হেসে উড়িয়ে দিয়েছে।’

সামিরা আরও বললেন, ‘ইমনের মনে অনেক কষ্ট আগে থেকেই ছিল। ইমন অনেক কিছু দেখে বড় হয়েছিল, যেগুলো ওর দেখার দরকার ছিল না। এগুলো নিয়ে বাচ্চাদের হয় কি, আমরা এখন যেমন হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে অনেক পড়াশোনা করি, তখন তো এগুলো করতাম না। তখন আমাদের কোনো কাউন্সেলিংয়ের সুযোগও ছিল না। ছিল না রিহ্যাবিলিটিশেনরও। এখন রিহ্যাব আছে, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা আছে। আমরা তেমন কিছু অনুভব করলে কারও সঙ্গে আলাপ করে তা ভাঙার চেষ্টা করি, বোঝার চেষ্টা। তখন তো ইমন এসব কাউকে বলতে পারেনি। সালমান শাহ হওয়ার পর তো আরও বলতে পারেনি। যাকে বলবে, এটা নিউজ হয়ে যাবে।’

সিনেমাজগতে সালমান শাহ নামে পরিচিত হলেও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেতার পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, র‍্যাব, পিবিআই একে একে মামলাটির তদন্ত করে। চলেছে বিচার বিভাগীয় তদন্তও। সব কটি তদন্ত প্রতিবেদনে একে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও প্রতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার পর পরিবারের আপত্তির (নারাজি) মুখে তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়।

মাত্র ২৫ বছরের জীবন পেয়েছিলেন সালমান শাহ। এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রেখে গেছেন অসামান্য অবদান। বলা যায়, দেশের চলচ্চিত্রে ভিন্নধারার সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। ছবিতে তাঁর উপস্থিতি মানেই ছিল নিশ্চিত সাফল্য, প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়া দর্শকের সরব উপস্থিতি। ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য আর জনপ্রিয়তা—দুই–ই সমানতালে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। অভিনয়ের স্বতন্ত্র ধারা আর ফ্যাশন সচেতনতা তাঁকে নিয়ে যায় ভিন্ন এক উচ্চতায়। এভাবে তিনি নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ। দেখতে দেখতে তাঁর মৃত্যুর ২৬ বছর পেরিয়ে গেছে।