পিরিয়ড শুরু না হলে কি মেয়েদের উচ্চতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে?

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা | ফোরপিলার্সবিডি.কম
প্রকাশিত:
পিরিয়ড শুরু না হলে কি মেয়েদের উচ্চতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে?

অনেক মেয়ের মনে একটি সাধারণ প্রশ্ন আসে—"আমার পিরিয়ড এখনো শুরু হয়নি, তাহলে কি আমি আর লম্বা হব না?"
এটা একেবারেই স্বাভাবিক প্রশ্ন, কারণ মেয়েদের শরীরে পরিবর্তন আসে বয়ঃসন্ধিকালে (Puberty) এবং উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে এর সম্পর্ক গভীর।

এই আর্টিকেলে আমরা জানব—

  • পিরিয়ড ও হাইট গ্রোথের সম্পর্ক

  • বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে পরিবর্তন

  • হাইট বৃদ্ধির সম্ভাবনা

  • উচ্চতা বাড়ানোর জন্য জরুরি স্বাস্থ্য টিপস


 বয়ঃসন্ধি এবং উচ্চতা বৃদ্ধি

বয়ঃসন্ধি হলো এমন একটি সময়, যখন শরীরে দ্রুত পরিবর্তন আসে। মেয়েদের সাধারণত ৯–১৫ বছরের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয়।

???? মেয়েদের ক্ষেত্রে হাইট দ্রুত বাড়ে পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে এবং পিরিয়ড শুরুর প্রথম ১–২ বছরে
???? পিরিয়ড শুরু হওয়ার পরও কিছুটা সময় উচ্চতা বাড়তে পারে, তবে গতি ধীরে ধীরে কমে আসে।
???? হাড়ের “growth plate” বা হাড় লম্বা হওয়ার অংশগুলো বন্ধ হয়ে গেলে আর উচ্চতা বাড়ে না।

অর্থাৎ, পিরিয়ড শুরু না হলে এখনও আপনার শরীর গ্রোথ ফেজে আছে এবং উচ্চতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


 জেনেটিক্স ও উচ্চতা

শুধু পিরিয়ড নয়, জেনেটিক্স বা বংশগত বৈশিষ্ট্যও উচ্চতার ওপর অনেকটা প্রভাব ফেলে।

  • বাবা–মায়ের উচ্চতা সাধারণত সন্তানের হাইটে প্রতিফলিত হয়।

  • তবে সঠিক খাবার, ব্যায়াম ও লাইফস্টাইল অনুসরণ করলে প্রাকৃতিক উচ্চতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব।


 হাইট বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য টিপস

১. সুষম খাবার খাওয়া

  • প্রোটিন: ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, ডাল।

  • ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D: হাড় মজবুত করে। দুধ, দই, পনির, সূর্যের আলো।

  • শাকসবজি ও ফল: ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার সরবরাহ করে।

  • আয়রন ও ফলিক এসিড: রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, যা মেয়েদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২. পর্যাপ্ত ঘুম

  • প্রতিদিন ৭–৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।

  • গভীর ঘুমের সময় শরীরে গ্রোথ হরমোন নিঃসৃত হয়।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম

  • দৌড়, সাঁতার, দড়ি লাফ, সাইক্লিং, বাস্কেটবল ও ভলিবল হাইট বৃদ্ধিতে সহায়ক।

  • স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ হাড় ও মাংসপেশি নমনীয় রাখে।

৪. ভঙ্গি (Posture) ঠিক রাখা

  • সোজা হয়ে বসা ও দাঁড়ানো অভ্যাস করুন।

  • কুঁজো হয়ে বসলে শরীরের প্রকৃত উচ্চতা কম মনে হয়।

৫. স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

  • ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড ও কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলুন।

  • ধূমপান বা অ্যালকোহল থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন।

  • প্রচুর পানি পান করুন।


 কিছু সাধারণ ভুল ধারণা

❌ শুধু দুধ খেলেই অনেক লম্বা হওয়া যায়।
✅ দুধ উপকারী, তবে সুষম খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়ামও প্রয়োজন।

❌ বিশেষ ওষুধ খেলে হাইট দ্রুত বাড়বে।
✅ হাইটের প্রধান নিয়ন্ত্রণ জেনেটিক্স ও গ্রোথ প্লেটের ওপর নির্ভরশীল। ওষুধে এর বড় কোনো প্রভাব নেই।

❌ পিরিয়ড শুরু হলেই হাইট বাড়া বন্ধ হয়ে যায়।
✅ একেবারেই না। অনেক মেয়ের হাইট পিরিয়ড শুরুর পরও ১–২ বছর পর্যন্ত বাড়ে।


 শেষ কথা

পিরিয়ড এখনো শুরু না হলে চিন্তার কিছু নেই—আপনার শরীর এখনো গ্রোথ–ফেজে রয়েছে এবং উচ্চতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।
তবে মনে রাখবেন, শুধু খাবার বা ব্যায়াম নয়, বরং সুষম লাইফস্টাইল, ভালো ঘুম, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং আত্মবিশ্বাস—সবকিছু মিলিয়ে উচ্চতা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিভাগের আরও খবর

রোদ-বারিষার মাঝেও শরীর ও মন রাখুন সতেজ

ভাদ্র মাসকে বলা হয় ভাদ্রের ভাদ্দরী। অর্থাৎ, এই সময়ে আবহাওয়া থাকে অস্থির—কখনো হঠাৎ বৃষ্টি, আবার কখনো প্রচণ্ড রোদ। কোথাও কোথাও দেখা দেয় বন্যাও। ধানের খেত সবুজে ভরে ওঠে, কিন্তু এই চঞ্চল আবহাওয়া শরীর ও মনের উপর ফেলে প্রভাব। তাই সুস্থ ও সতেজ থাকতে কিছু সহজ কৌশল মেনে চলা জরুরি।

ভালো ঘুম
প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরকে রাখে সতেজ ও চাঙ্গা।

সঠিক খাবার

  • মৌসুমি ফল ও সবজি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

  • নিয়মিত এই খাবার গ্রহণে সর্দি-কাশি ও জ্বর থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

  • মসলাযুক্ত ও ভারী খাবার বাদ দিয়ে হালকা খাবার খাওয়া উত্তম।

পর্যাপ্ত পানি পান
শরীরে পানির ঘাটতি যেন না হয়, তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। এতে শরীর থাকে হাইড্রেটেড এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম সচল থাকে।

  • ঠান্ডা ও তাজা ফলের রস, ডাবের পানি বা লেবুর শরবত শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

  • অ্যালকোহল, ক্যাফেইন ও অতিরিক্ত গরম পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।

পরিচ্ছন্নতা ও সতর্কতা

  • ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে রাস্তার খোলা খাবার খাবেন না।

  • বৃষ্টিতে ভিজলে দ্রুত শুকনো কাপড় পরুন এবং চুল ভালোভাবে মুছে ফেলুন।

  • পানি জমে থাকা রাস্তা এড়িয়ে চলুন। ভিজলে পা ধুয়ে শুকনো রাখুন, নাহলে চর্মরোগ হতে পারে।

পরিধান ও পরিবেশ

  • হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।

  • ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা ও সতেজ রাখতে ভেতরে সবুজ গাছ রাখতে পারেন।

  • বৃষ্টির সময় বাইরে গেলে ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার করুন।

রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব? এই ৪টি কৌশলে নিয়ন্ত্রণ করুন |

রাতে ঘুমানোর সময় ঘন ঘন ওয়াশরুমে যেতে হয়? ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে? সারাদিন কাজ করার সময়ও বারবার প্রস্রাবের চাপ অনুভব হয়? চিন্তার কিছু নেই—এটি শুধু আপনার সমস্যা নয়, বরং লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অসুবিধায় ভুগছেন। সুখবর হলো, ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু সহজ নিয়ম মানলে অনেকটাই উপশম পাওয়া সম্ভব।

প্রথমেই জানতে হবে—বারবার প্রস্রাব হওয়ার কারণ কী?


ঘন ঘন প্রস্রাবের সম্ভাব্য কারণ

  • রাতে অতিরিক্ত পানি খাওয়া

  • চা, কফি বা ঠান্ডা পানীয়ের অতিরিক্ত ব্যবহার

  • অ্যালকোহল গ্রহণ

  • ডায়াবেটিস বা হরমোনজনিত সমস্যা

  • মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI)

  • প্রস্টেটের সমস্যা (পুরুষদের ক্ষেত্রে)

  • মূত্রাশয়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া

খারাপ জীবনধারা এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা একসঙ্গে মিলে এই অসুবিধা বাড়িয়ে তোলে।


ঘরোয়া প্রতিকার এবং নিয়ন্ত্রণের টিপস

১. তরল নিয়ন্ত্রণ

পানি শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি, তবে রাতে অতিরিক্ত পান করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

  • ঘুমানোর অন্তত ২–৩ ঘণ্টা আগে থেকে পানি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন।

  • দিনের বেলায় সুষমভাবে পানি পান করুন।

২. চা, কফি এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন

  • ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল মূত্রাশয়কে উদ্দীপিত করে।

  • সন্ধ্যার পর চা, কফি বা কোল্ড ড্রিঙ্কস না খাওয়াই ভালো।

  • হঠাৎ পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলে ধীরে ধীরে পরিমাণ কমান।

৩. মূত্রাশয় ট্রেনিং

  • প্রস্রাবের চাপ এলেই সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে না গিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখার চেষ্টা করুন।

  • ধীরে ধীরে মূত্রাশয় দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখতে সক্ষম হবে।

  • এই অভ্যাস রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব কমাতে সাহায্য করে।

৪. কেগেল ব্যায়াম

  • পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই কার্যকর।

  • প্রস্রাব বন্ধ করার মতো করে ৫ সেকেন্ড পেশি শক্ত করে ধরুন, তারপর ছেড়ে দিন।

  • প্রতিদিন ৮–১০ বার করুন।

  • বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি মূত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী।


অতিরিক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • ডায়াবেটিস চেকআপ করুন: অতিরিক্ত প্রস্রাব ডায়াবেটিসের একটি লক্ষণ হতে পারে।

  • লবণ কম খান: অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে পানি জমে এবং রাতে বেশি প্রস্রাবের চাপ হয়।

  • ওষুধের প্রভাব: কিছু ওষুধ (যেমন ব্লাড প্রেসার কমানোর ডাইইউরেটিক) প্রস্রাব বাড়াতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।

  • শোওয়ার আগে টয়লেটে যান: এটি সাধারণ অভ্যাস হলেও খুব কার্যকর।


কখন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন?

যদি বারবার প্রস্রাবের সঙ্গে সঙ্গে নিচের সমস্যাগুলো দেখা দেয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান—

  • প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা

  • প্রস্রাবে রক্ত

  • অত্যধিক দুর্বলতা বা ক্লান্তি

  • প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা

কারণ এগুলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, কিডনি বা প্রস্টেটের সমস্যা, এমনকি ডায়াবেটিসেরও লক্ষণ হতে পারে।


 

রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তরল নিয়ন্ত্রণ, কফি–অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা, মূত্রাশয় ট্রেনিং ও কেগেল ব্যায়াম—এই চারটি টিপস নিয়মিত মানলেই ভালো ফল পাবেন। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

রোজ অ্যান্টাসিড নয়, রোজ ৫ মিনিট শলভাসন করলেই হজম ঠিক, মেদ কম! আজই শুরু করুন, নিজের শরীরের যত্ন নিন

অনিয়মিত জীবনযাপন, বাইরের খাবার আর দুশ্চিন্তায় ভরা ব্যস্ত সময়সূচিতে বদহজম, অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা অনেকেরই নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পান অ্যান্টাসিড বা হজমের ওষুধে। কিন্তু এগুলো সাময়িক স্বস্তি দিলেও স্থায়ী সমাধান নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি হজমক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরি। এমন কিছু যোগাসন রয়েছে, যা নিয়মিত অভ্যাস করলে শুধু হজমশক্তিই বাড়ে না, পেটের অতিরিক্ত মেদও কমে। তেমনই একটি কার্যকরী আসন হল—শলভাসন (Shalabhasana)

শলভাসন কীভাবে করবেন?

১. যোগা ম্যাটে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি সোজা রাখুন এবং দুই হাত সোজা করে রাখুন উরুর নিচে।
২. ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে বাঁ পা উপরের দিকে তুলুন। হাঁটু ভাঁজ যেন না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখুন। ডান পা সোজা থাকবে।
৩. এই ভঙ্গিমায় ৫ সেকেন্ড থাকুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা নামিয়ে আনুন।
৪. এরপর উভয় পা একসঙ্গে তুলে একইভাবে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর নামিয়ে আনুন।
৫. প্রতিদিন তিন সেট করে এই অভ্যাস করুন।
৬. প্রতিটি সেটের পর উপুড় হয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিন।

শুরুতে পা খুব বেশি উপরে না উঠলেও চিন্তার কিছু নেই, নিয়মিত অভ্যাসে উন্নতি হবে।

শলভাসনের উপকারিতা কী?

✔️ তলপেটের অতিরিক্ত মেদ দ্রুত ঝরাতে সাহায্য করে।
✔️ পেট, কোমর, ঊরু ও নিতম্বের মেদ কমাতে সহায়ক।
✔️ শরীরের ভারসাম্য ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
✔️ মেরুদণ্ড নমনীয় করে এবং হাত-পায়ের পেশিকে করে শক্তিশালী।
✔️ সার্বিক স্ট্রেচিংয়ের মাধ্যমে শরীরকে করে চনমনে ও সক্রিয়।

কারা শলভাসন করবেন না?

  • অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য এই আসন একেবারেই বারণ।

  • যাঁদের হার্নিয়া, পিঠে গুরুতর ব্যথা বা সার্জারির ইতিহাস রয়েছে, তাঁদেরও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শলভাসন না করাই ভালো।

প্রাকৃতিক উপায়ে হজমশক্তি বাড়াতে ও পেটের মেদ কমাতে শলভাসন একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায় হতে পারে। অ্যান্টাসিডের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে চাইলে, আজ থেকেই কয়েক মিনিট সময় বের করে অভ্যাস করুন এই আসনটি। স্বাস্থ্যই হোক আপনার প্রধান অগ্রাধিকার।

গ্রামে প্রযুক্তির ছোঁয়া, আগেই ধরা পড়ছে রোগ।

Generative AI‑Based Model 4.0, বা সংক্ষেপে AI‑মডেল ৪.০, গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সবল করার সম্ভাবনাময় একটি প্রযুক্তি। রঙ্গামাটির বিভিন্ন গ্রাম—নদীপথ, প্লেইনল্যান্ড ও চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলে ২৬৪ জন সাধারণ মানুষ ও ১০৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায় এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়।

বিশ্লেষণ থেকে দেখা প্রধান উদ্ভাস:
বিশ্বাসের গুরুত্ব: গবেষণার পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, AI‑এ আস্থা (β = 1.20, p = 0.020) এবং স্বাস্থ্য‑ডেটা শেয়ার করার আত্মবিশ্বাস (β = 9.049, p = 0.020) খুবই গুরুত্বপূর্ণ—এই দুটি বিষয়ই AI‑গ্রহণে সবচেয়ে বড় পূর্বাভাসক।
 

তবে অবকাঠামো দুর্বলতা ও ডিজিটাল প্রবেশাধিকার সংকট এখনও AI ব্যবহারে বড় বাধা।
 

পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে AI‑মডেল ৪.০‑এর কর্মপদ্ধতি:
স্থানীয় ডেটা সংগ্রহ: mHealth মনিটরিং, সার্ভের মাধ্যমে রোগের লক্ষণ ও আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

AI‑চালিত বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস: পরিসংখ্যান ও জিওস্প্যাশিয়াল বিশ্লেষণ দিয়ে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাব্য স্থান–সময় চিহ্নিত করা হয়।

কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়: স্বাস্থ্য службы, ব্লকচেইন ও ভেরিফায়েড সিস্টেমের মাধ্যমে তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়।

গ্রামীণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ: প্রযুক্তির পাশাপাশি সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।

কি লাভ হলো? বাস্তব পরিবর্তন:
সামাজিক প্রতিরোধ ক্ষমতায় উন্নতি: মডেলটি গ্রামের স্বাস্থ্য প্রস্তুতি শক্তিশালী করে—রোগের আগাম পূর্বাভাস ও প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

স্বাস্থ্য সাম্য ও দ্রুত উদ্যোগ: নিয়ন্ত্রিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে, এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অভিযোজন দ্রুত হয়।

চ্যালেঞ্জ এখনও আছে:
ডিজিটাল বিভিষিক্ততা: অনেক গ্রামে এখনও ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের অভাব রয়েছে।

আইন–নীতিগত সীমাবদ্ধতা: তথ্য গোপনীয়তা ও নীতিগত নির্দেশনা প্রয়োজন।

স্থানীয় সচেতনতার ঘাটতি: AI‑এ আস্থা বৃদ্ধি না হলে প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগে বাধা থাকবে।


AI‑মডেল ৪.০ গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক শক্তি আনতে পারে—তবে এর কার্যকর প্রয়োগের মূল চাবিকাঠি হলো সামাজিক বিশ্বাস, স্বাস্থ্য‑ডেটা শেয়ারিং এবং ডিজিটাল ও অবকাঠামোগত সক্ষমতা। সরকারের সহায়তা, স্থানীয় সচেতনতা এবং প্রযুক্তিগত সাপোর্ট এর সফলতা নির্ধারক।

আপনার যদি এই গবেষণার PDF, বিস্তারিত ফলাফল, বা “প্রথম আলো” শৈলীতে আরও অংশ চান—অথবা “AI‑চালিত হেলথ অ্যাপ বানানোর ধাপ” জানতে চান—তাহলে অবশ্যই জানাবেন, খুলে বলছি।