স্মার্টফোনের হাতে জীবনের লাগাম। ইন্টারনেট জুড়ে ডেটিং অ্যাপ। আজকাল নতুন মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই আলাপ করা যায়, দেখা করা যায়। ভাল লাগা, মন্দ লাগাগুলো জানতে আর দীর্ঘ পথ পেরতে হয় না। এক ক্লিকেই হাতে চলে আসে সব কিছু।
অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোর এখন রমরমা বাজার। চিরাচরিত পথের বাইরে অন্যভাবে গড়ে উঠছে বন্ধুত্ব, প্রেম, সাহচর্য। ডেটিং অ্যাপের আলাপ বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে, এমন ঘটনাও কম নয়। সব মিলিয়ে রোম্যান্টিক সম্পর্কে বিপ্লব এসেছে বললে খুব একটা ভুল হবে না।
প্রশ্ন হল, ডেটিং অ্যাপে কি গোপনীয়তা বজায় থাকে? সম্প্রতি ফায়ারফক্স ইন্টারনেট ব্রাউজার মোজিলার গবেষকরা ইউজারদের গোপনীয়তার উপর ভিত্তি করে ২৫টি ডেটিং অ্যাপে গবেষণা চালানো হয়েছিল।
এর মধ্যে আছে Tinder, Bumble, Hinge, OkCupid-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপও। কিন্তু যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে চমকে যেতে হবে।
এই প্রকল্পে কাজ করা গবেষকদের মধ্যে মিশা রাইকভ বলছেন, “ডেটিং অ্যাপগুলো দাবি করে, আপনি যত বেশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন, ততটাই মনের মানুষ পাবেন। এটা আদৌ সত্যি কি না, তা জানার কোনও উপায় নেই। আমরা যা জানি সেটা হল, বেশিরভাগ ডেটিং অ্যাপই ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে পারে না।”
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ডেটিং অ্যাপ, প্রায় ৮০ শতাংশই বিজ্ঞাপনের জন্য ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার বা বিক্রি করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ২৫ শতাংশ অ্যাপ ইউজাররা যা আপলোড করেন, তা থেকে মেটাডেটা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ছবি, ভিডিও তো বটেই, ইউজার কখন, কোথায় ক্লিক করেছেন, সেই তথ্যও থাকে।
যখন ইউজার অ্যাপ ব্যবহার করছে না, সেই সময়ও ইউজারের অবস্থানের উপর লক্ষ্য রাখে কিছু অ্যাপ। গবেষকরা গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ইউজারদের কিছু টিপস দিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ হল, থার্ড পার্টি অ্যাপ থেকে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা উচিত নয়।
টিন্ডার বা বাম্বল প্রোফাইলকে লিঙ্কডইন প্রোফাইলের মতোই দেখতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘অ্যাপ পারমিশন’ সীমিত করা। তবেই গোপন কথাটি গোপনে থাকবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, Hinge, OkCupid, Tinder এবং BLK সহ বেশ কয়েকটি অ্যাপ ইউজারের অবস্থানও অ্যাক্সেস করতে পারে।