ইসরায়েলি কারাগারে কেন এত ফিলিস্তিনি শিশু?

গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওয়তায় ইসরায়েলে বন্দি ২৩ ফিলিস্তিনি শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে; যার মাধ্যমে ইসরায়েলের সামরিক আদালতে শিশুদের বিচারের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।

গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর দুই দফায় অন্তত ২৯০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর ভিত্তিক আদামির প্রিজনার সাপোর্ট এবং হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, সাম্প্রতিক এই বন্দি বিনিময়ের আগে ইসরায়েলের কারাগারে ৩২০ ফিলিস্তিনি শিশু বন্দি ছিল।

শিশু বন্দি সম্পর্কে কী জানা গেল?

২০১৬ সালে ইসরায়েল নতুন একটি আইন পাস করে। যার আওতায় ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের অপরাধী সাব্যস্ত করে প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো বিচার ও দণ্ড দেওয়া যাবে। আগে যা ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রযোজ্য ছিল। তবে নতুন আইন অনুযায়ী দণ্ড দেওয়া গেলেও তা ১৪ বছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।

ইসরায়েলের আইনসভা ক্নেসেট ২০১৬ সালের ২ অগাস্ট আইনটি প্রণয়ন করে। আইন প্রণয়নের সময় আইনসভার বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘হত্যা, হত্যা চেষ্টা এবং হত্যায় জড়িতরে মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত শিশুদের বন্দি করার’ অনুমতি দেয়া হলো। এমনকি তার বয়স ১৪ বছরের নিচে হলেও।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে ২০১৫ সালে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আহমেদ মানাসরা নামে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তারের পর নতুন এ আইনটি পাস করা হয়। নতুন আইন পাসের পর তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং তা তার চৌদ্দতম জন্মদিনের দিন বাস্তবায়িত করা হয়। পরে আপিল করা হলে তার দণ্ড কমিয়ে নয় বছর করা হয়।

বেসরকারি সংস্থা সেইভ দ্য চিলড্রেনের হিসাব অনুযায়ী গত ২০ বছরের ১০ হাজার শিশুকে ইসরায়েলি সামরিক কারাগারে রাখা হয়।

শিশুদের গ্রেপ্তারের কারণের মধ্যে পাথর নিক্ষেপসহ অনুমতি ছাড়াও ১০ জন একসঙ্গে জমায়েত হলেও তা প্রযোজ্য।

কোন আইনে শিশুদের আটক?

ইসরায়েল বিতর্কিতভাবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বেসামরিক আদালতে বিচার না করে সামরিক আদালতে বিচার করে থাকে। যদিও আন্তর্জাতিক আইন ইসরায়েলকে তার অধিকৃত অঞ্চলে সামরিক আদালত পরিচালনার অনুমতি দেয়।

দখলকৃত পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেমে দুই ধরনের বিচার ব্যবস্থা চালিয়ে থাকে ইসরায়েল। সেখানে বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিদের সাধারণ এবং ফিলিস্তিনিদের সামরিক আদালতে বিচার করা হয়ে থাকে। যার ফলে অনেক ফিলিস্তিনি যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই কারাবন্দি হয়।

২০২৩ সালের নভেমআবরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন পরিচালক ওমর শাকির লিখেছিলেন, “রাতে অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি শিশুদের গ্রেপ্তার করে, অভিভাবকের উপস্থিতি ছাড়াই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ১২ বছর বা তার কম বয়সীদের বিচারকের সামনে উপস্থান করা ছাড়াই দীর্ঘ সময় আটকে রাখে।”

ইসরায়েলি সিভিল রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম তীরের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ফিলিস্তিনি শিশু বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত আটক থাকে; আর ইসরায়েলি শিশুদের হার ২০ শতাংশেরও কম।

ইসরায়েলে বন্দি শিশুদের ২০২০ সালে থেকে প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর একবার ১০ মিনিট করে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেয়।

মুক্তিপ্রাপ্তদের কত জন শিশু?

অস্ত্রবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার ইসরায়েল দুইশ’ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে ১২০ জন যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত ছিল। এছাড়া দুই শিশু রয়েছে যাদের বয়স ১৫ বছর। আর সবচেয়ে বয়স্ক মুহাম্মদ আল-তৌস ৬৯ বছর বয়সী। ১৯৮৫ সালে ইসরায়েলের সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে গ্রেপ্তারের পর ৩৯ বছর কারাবন্দি ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তাক্ত আগ্রাসনের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে শনিবার দ্বিতীয় দফা হিসেবে এদের মুক্তি দেওয়া হয়। প্রথম দফায় তিন ইসরায়েলি বন্দির বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। যার মধ্যে ৬৯ জন নারী ও ২১ শিশু ছিল।

এদের মধ্যে মাত্র আটজন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের হামলার আগে আটক হয়েছিল। এ হামলায় ১১শ’ নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে ধরে নিয়ে আসে তারা। এরপরই গাজায় সর্বাত্মক হামলা চালায় ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি এসব বন্দির মধ্যে অনেকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি কারাগারে রয়েছেন।

ফিলিস্তিন ন্যাশনাল লিবারেশন মুভমেন্ট (ফাতাহ) এর সহপ্রতিষ্ঠাতা মারওয়ান বারঘৌতি ২২ বছর ধরে ইসরালেলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। দখলের আগে পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণে ছিল ফাতাহর।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক তামার ক্বারমাউত  আল জাজিরাকে বলেন, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি পরিবারগুলির জন্য ‘অনেক বড় উপশম’ হলেও তা ঘটছে “ইসরায়েলি দখলের ভয়াবহ বাস্তবতার মধ্যে”।

তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ শেষ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দখল শেষ করার মতো বড় একটি চুক্তিতে এসব বন্দিদের মুক্তি পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কঠোর বাস্তবতা হলো দখল অব্যাহত আছে।

কত ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে?

আদামিররে রোববারের তথ্য অনুসারে ইসরায়েলের কারাগারে ১০ হাজার চারশ’ ফিলিস্তিনি রয়েছে, যারা গাজা ও পশ্চিম তীরের। ফিলিস্তিনের দখলকৃত অঞ্চলের প্রতি পাঁচজনে একজন কোনো না কোনো সময় গ্রেপ্তার হয়ে বিচারের সম্মুখীন হয়েছে। তবে শুধু পুরুষদের মধ্যে এ সংখ্যা দ্বিগুণ; প্রতি পাঁচজনে দুইজন।

ইসরায়েলের ১৯টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে একটি দখলকৃত পশ্চিমতীরে যেখানে ফিলিস্তিনি বন্দিদের রাখা হয়। গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল সেখানে স্বতন্ত্র মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। ফলে ভেতরে কত বন্দি এবং তারা কী অবস্থায় রয়েছে তা জানা কঠিন হয়ে যায়।

গাজায় আগ্রাসন শুরু হওয়ার আগে ও পরে বন্দি হওয়া ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, কারাগারে তারা মারধর, নির্যাতন এবং অবমাননার শিকার হয়েছেন।

বিনা অভিযোগে আটক কত?

আদামির তথ্যানুসারে ইসরায়েল প্রশাসনিক আটকাদেশের অধীনে ৩ হাজার ৩৭৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দি আছে। প্রশাসনিক আটকাদেশ হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে কাউকে বিনা বিচার বা বিনা অভিযোগে কারাবন্দি করে রাখা যায়।

প্রশাসনিক আটকাদেশে আটকদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ‘গোপন প্রমাণ’ থাকার দাবি করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, যা তাদের আইনজীবীদেরও দেখার অনুমতি নেই। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই তারা এমনটি করে আসছে।

 ৪১ শিশু ও ১২ নারী প্রশাসনিক আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে বলে আদামির জানিয়েছে।

এরপর কী?

যুদ্ধবিরতির প্রথম দফার ছয় সপ্তাহের মধ্যে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ২৬ জন অন্যান্য বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। পরবর্তী বন্দি বিনিময় আগামা শনিবার হওয়ার কথা রয়েছে।

অনেকের প্রত্যাশা পরবর্তী ধাপ ২৩ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণ নেওয়া গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। এ পর্যাযের আলোচনা আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আল জাজিরা অবলম্বনে

ধেয়ে আসছে ‘পৃথিবীর বৃহত্তম’ হিমশৈল

অ্যান্টার্কটিকা থেকে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর বৃহত্তম হিমশৈল। এর সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি দেখে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের গবেষকরা বলছেন, হিমবাহটি সাউথ জর্জিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে ঝুঁকিতে পড়তে পারে এ অঞ্চলের সিল, পেঙ্গুইনের মতো প্রাণিদের স্বাভাবিক বিচরণ। 

পৃথিবীর বৃহত্তম এই হিমশৈলের আয়তন প্রায় দক্ষিণ আটলান্টিক দ্বীপের সমান, লন্ডনের দ্বিগুণ। অর্থাৎ আয়তন চার হাজার ২০০ বর্গ কিলোমিটার। হিমবাহটির ওজন কয়েকশ’ বিলিয়ন টন।

হিমশৈলটি এখন সাউথ জর্জিয়া থেকে ১৭৩ মাইল (২৮০ কিমি) দূরে অবস্থান করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দ্বীপের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি টুকরা টুকরা হয়ে যেতে পারে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের গবেষক জেরেইন্ট টারলিং বলছেন, “সবচেয়ে বিপদ হতে পারে যদি হিমবাহটা কোথাও এসে থমকে যায়। এর আয়তন ও ওজন এতই যে, অন্তত ১০ বছর তা সেখানেই আটকে থাকবে। আর তাতে পেঙ্গুইন, সিলদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।”

অ্যান্টার্কটিকা থেকে নেমে আসা বহু হিমবাহ সাধারণত সাউথ জর্জিয়ায় এসে গতিপথ শেষ করে। তাই এই এলাকাকে হিমবাহের সমাধিস্থল বলে থাকে অনেকে। এখানকার উপকূল অংশে খণ্ডবিখণ্ড বহু হিমশৈলের অংশ এমনভাবে পড়ে থাকে, কখনও তা ভাস্কর্যের রূপ নেয়। এই অবস্থায় হিমবাহের গতিশীলতা থেমে যায়। আর এগিয়ে যেতে পারে না। এরপর খুব ধীরে ধীরে গলতে থাকে।

এসব হিমশৈলের টুকরো অনেক সময়েই স্থানীয় প্রাণী অর্থাৎ পেঙ্গুইন, সিলদের অবাধ বিচরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয় বড় এই হিমবাহের কারণে সেই বাধা আরও বড় হয়ে দাঁড়াবে বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।

এছাড়া হিমবাহের যা আয়তন, তাতে হিমবাহের চূড়া ভেঙে সমুদ্র পড়লে বহু সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

অতীতে হিমশৈলের ধাক্কায় সাউথ জর্জিয়ার বরফাচ্ছাদিত সাগরতীরে বিচরণকারী অগণিত পাখি ও সিল মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খাবার সংগ্রহের পথ রুদ্ধ হয়ে এদের মারা যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

বিশাল হিমশৈলের কারণে সাউথ জর্জিয়া ও স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জ হুমকিতে পড়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়; ২০০৪ সালে এ৩৮ নামের একটি হিমশৈল দ্বীপের মহীসোপান বা কন্টিনেন্টাল শেলফের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার কারণেও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। বিশাল বরফের টুকরার কারণে খাবার সংগ্রহের পথ বন্ধ হয়ে সমুদ্রতীরের অনেক পেঙ্গুইন ও সিল মারা যায়।

অঞ্চলটি কিং এমপেরর পেঙ্গুইনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আবাসস্থল। বহু এলিফ্যান্ট ও ফার সিলের আবাসও এখানে।

সমুদ্রবিষয়ক গবেষক অ্যান্ড্রু মেইজার্স বলেন, “সাউথ জর্জিয়া আইসবার্গ অ্যালিতে অবস্থিত। তাই মৎস্য ও বন্য প্রাণী—উভয়ের ওপরই এর (হিমশৈলটির সংঘর্ষ) প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে এবং উভয়েরই পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দুর্দান্ত ক্ষমতা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “হিমশৈলগুলো ক্রমাগত সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ২০২৩ সালে এ৭৬ নামের একটি হিমশৈলকে আছড়ে পড়তে দেখে মানুষ আতঙ্কিত হয়েছিলেন।”

গার্ডিয়ান অবলম্বনে

বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও এক বার দল এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, সোমবার দুপুরে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী (পিস কিপিং ফোর্স) পাঠানোর জন্য কেন্দ্রকে জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রস্তাব কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক।”

একই সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিবৃতি দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। যদি তাঁর কোনও অসুবিধা থাকে, তবে বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি দিন।” বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও এক বার দল এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি জানান, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই। তাই তাঁরা কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে চলবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হলে তাঁর সরকার তা সহ্য করবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা তাঁদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি।”এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “আমাদের পরিবার, সম্পত্তি এবং প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে আছেন। ভারত সরকার এই বিষয়ে (বাংলাদেশ) যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। কিন্তু বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এই বিষয়ে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।”

বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্র চুপ করে রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “আমি গত ১০ দিন ধরে দেখছি কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে। অথচ তাদের দল বলছে সব আটকে দেব। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কোনও এক্তিয়ার নেই।”

বৃহস্পতিবারও বিধানসভার অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ নিয়ে দেশের সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তার সঙ্গে আছেন। বুধবার সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রায় একই কথা বলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বাংলাদেশের ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

আনিসুল, সাধন ও মামুনসহ ৮ জন ফের রিমান্ডে

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান জিয়াকে আবারও রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর সিএমএম কোর্ট তাদের ফের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

এছাড়া আজ বিভিন্ন মেয়াদে আরও কয়েকজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক এমপি হাজী সেলিম ও ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকত। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


এদিকে শাহবাগ থানায় করা মামলা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ৫ দিন ও বাড্ডা থানায় আরেক হত্যা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বাড্ডা থানার আরেক হত্যা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান জিয়ার আবারও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এছাড়াও যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের ৪ দিনের রিমান্ড, নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে ৫ দিনের এবং ধানমন্ডি থানার মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ৩ দিন ও বংশাল থানার মামলায় তাকে ৪ দিনের রিমান্ড দেন। এবারে মোট ৭ দিন রিমান্ড থাকবেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এর আগে তিনি প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে রিমান্ডে ছিলেন।

এদিকে আবারও চকবাজার থানার মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাজী সেলিম ৫ দিন এবং ধানমন্ডি থানার মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এছাড়াও রাজধানীর চকবাজার থানায় করা হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকতকে ফের ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির পর ফিরতে শুরু করেছে টিকটক

ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করার চেষ্টা করবেন- ডনাল্ড ট্রাম্পের এমন আশ্বাসের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে টিকটক।

ফেডারেল নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের সেবা গুটিয়ে নেয় টিকটক।

ট্রাম্প রোববার টিকটকের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বলেন, জনপ্রিয় ভিডিও-শেয়ারিং এই প্ল্যাটফর্মটি স্থায়ী মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসার আগে, টিকটকের চীন-ভিত্তিক মূল কোম্পানিকে ক্রেতা খুঁজে পেতে আরও সময় দেওয়ার জন্য তিনি আদেশ জারির পরিকল্পনা করছেন।

নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

ফেডারেল নিষেধাজ্ঞার কারণে ইতোমধ্যে গুগল এবং অ্যাপল তাদের ডিজিটাল স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে দিয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, তার আদেশ আইনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে সময়কাল বাড়িয়ে দেবে।

টিকটক পরিচালনাকারী কোম্পানি বাইটড্যান্স এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে বলেছে, ট্রাম্পের আশ্বাসের পর ১৭ কোটি আমেরিকানের জন্য টিকটকের পরিষেবা ফিরিয়ে দিতে তারা কাজ করছেন।

অনেক ব্যবহারকারী ইতোমধ্যে অ্যাপটি আবার কাজ করছে বলে জানিয়েছন।

যে আইনের আওতায় টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে এটিও বলা আছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাইলে কার্যকর বিক্রয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য অতিরিক্ত ৯০ দিনের মেয়াদ বাড়াতে পারবেন। যদিও বিনিয়োগকারীরা আগেই জানিয়েছিল, তারা অ্যাপটি বিক্রি করবে না।

...

ইন্টারনেট বন্ধ: পলকের কথার প্রতিধ্বনি নাহিদের কণ্ঠে

শুধু কণ্ঠ আলাদা-ব্যক্তি আলাদা। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে দু’জনের কথা খুব মিল। একই চেয়ারে বসা দুই কর্তার কণ্ঠে যেন একই কথার প্রতিধ্বনি। একজন ছিলেন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিমন্ত্রী আর আরেকজন হলেন গণঅভ্যুত্থান সরকারের উপদেষ্টা। তবে দু’জনই ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। একজন সাবেক আর আরেকজন বর্তমান।

খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোথাও সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি। সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছিল।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালের ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাময়িকভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, কিন্তু সেটিকে অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বা কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, এমন প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে সেখানের জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ সত্যতা জেনে নেওয়ার অনুরোধ রইল। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যে ইন্টারেনেট বন্ধ থাকলেও গত ৪ আগস্ট তখনকার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছিলেন, দেশের কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি।

তখনকার প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমরা কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করিনি। বন্ধের কোনো নির্দেশও দেইনি। কোথাও কোথাও ইন্টারনেটের সমস্যা হচ্ছে। এটা আমাদের নির্দেশনার কারণে নয়।  ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল ও ইন্টারনেট পরিচালনার অনেক স্থাপনায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। অনেক জায়গায় হামলা চলছে। ফাইবার ক্যাবল কেটে দেওয়া হচ্ছে। আজও আমাদের কয়েক জায়গায় আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক এলাকায় কেটে ফেলা হয়েছে। এমন তাণ্ডব চালালে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ করাতো সম্ভব নয়।

...

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’ কেন ভাইরাল?

সামাজিক মাধ্যম খুললেই এখন একটাই গান, ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। সেই গান দিয়ে মিম, রিলের ছড়াছাড়ি চারপাশে। হাসির ভিডিও, কান্নার ভিডিও, মজার ভিডিও, কোথায় ব্যবহার হচ্ছে না সেই গান!। এমনকি পিকনিকে যাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে পার্তিতেও সেই একই গান। কিন্তু প্রশ্ন হল এই গানের আসল মানে কী, জানেন?

এটি আসলে ভারতের উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সঙ্গীত শিল্পী সত্য অধিকারীর গাওয়া এই গান। উড়িষ্যার কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা গান। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। ছয় বছর পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।

এই গানে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন মঞ্চ অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও-র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক।

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ/ ধনকে চিনলি তুই ননী সিনা/ মনকে চিনলি নাই/ সুনাকে চিনলি, মনাকে চিনলি/ মানুষ চিনলি নাই/ ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। এই গান এখন চারিদিকে ভাইরাল। কিন্তু কী মানে এই গানের জানেন?

সত্যিই লজ্জার, ননী/ তুমি শুধুই সম্পত্তি দেখলে, কিন্তু আমার ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য দিতে পারলে না/ তুমি সোনা ও দামি গয়না চিনতে পেরেছ। কিন্তু, প্রকৃত মানুষ চিনতে পারোনি/ আমার সম্পত্তির অভাব ছিল বলে তুমি আমাকে এ ভাবে ছেড়ে দিয়েছ/ যার টাকা পয়সা আছে তার মন নাই/ আমার মনকে দেখলি না ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।

মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছিলেন মানবভঞ্জন নায়েক। ভিডিওটির প্রযোজক ও গানটির রচয়িতা সীতারাম আগরওয়াল। গেয়েছিলেন সত্যনারায়ণ অধিকারী। পর্দায় দেখা গিয়েছে বিভূতি বিশ্বালকে। মঞ্চশিল্পী হিসেবে খ্যাতিমান ওই অভিনেতাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।

কে জানত, দুই দশক পরে আচমকাই ভাইরাল হয়ে যাবে গানটি। ইউটিউবে ভিউ ছাড়িয়েছে প্রায় দুই কোটি। নতুন বছরে সকলের ফোনে বা অন্য ডিভাইসে বাজছে, বেজেই চলেছে ‘ছি ছি রে ননী’।

ফের ঐশ্বরিয়ার হাতে বিয়ের আংটি, তবে কী বিচ্ছেদ হচ্ছে না? 

বচ্চন পরিবারের অশান্তির জল্পনা নতুন নয়। ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েও নানা রটেছে এবং রটে চলেছে। কিছুদিন আগে দুবাই যাত্রার সময় ঐশ্বরিয়ার আঙুলে তাঁর বিয়ের আংটিখানি দেখা যায়নি। তাতেই নতুন করে তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের জল্পনায় ঘৃতাহুতি পড়ে। তবে প্যারিস ফ্যাশন উইকে বিয়ে ভাঙার জল্পনা এক পোজেই নস্যাৎ করে দিলেন বচ্চন পরিবারের বধূ। আবারও তাঁর হাতে দেখা গেল অভিষেকের পরানো আংটিখানি।

একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে দুবাই গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। সেখানকার ছবি ও ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজেনদের একাংশের নজরে পড়ে অভিনেত্রীর হাতে তাঁর বিয়ের আংটি নেই। তাতই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদ? আর সেই কারণেই আংটি খুলে ফেলেছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।

২০০৭ সালে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়। বচ্চন পরিবারের বধূ হন অভিনেত্রী। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার একমাত্র মেয়ে আরাধ্যার জন্ম হয়। বলিউডে কানাঘুষো, শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতার সঙ্গে নাকি ঐশ্বরিয়ার একেবারেই বনিবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর ও অভিষেকের সম্পর্কও নাকি টালমাটাল। রটনা, মেয়েকে নিয়ে নাকি মা বৃন্দা রাইয়ের সঙ্গে থাকছেন অভিনেত্রী। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর হাতে আংটি নেই দেখে অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন।

কিন্তু প্যারিস ফ্যাশন উইকে সমস্ত জল্পনা, কল্পনার জবাব ঐশ্বরিয়া আংটি হাতেই দিলেন। এবারে প্যারিস ফ্যাশন উইকের র‌্যাম্পে সাটিনের লাল গাউন পরেছেন বচ্চন পরিবারের বধূ। তার সঙ্গেই ছিল বোল্ড রেড লিপস্টিক। বিশাল একটি ভেইল ছিল ঐশ্বরিয়ার এই পোশাকে। যে প্রসাধনী সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে মার্জার সরণিতে হেঁটেছিলেন, তারই ক্যাচলাইন লেখা ছিল তাতে।
 

...

সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে এবার কি বললেন সামিরা?

সাবেক স্বামী সালমান শাহর মৃত্যু প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন সামিরা। বেসরকারি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সামিরা বলেছেন, ‘আত্মহত্যা যারা করে, তারা তো কিছু বলে করে না। এখন নীলা চৌধুরী বারবার বলেন, সামিরাকে কেন রিমান্ডে নেওয়া হয় না। একটা বাসায় একটা বাচ্চা যখন আত্মহত্যা করে, সে বাচ্চার মা–বাবাকে কি আমরা উঠিয়ে নিয়ে চলে যাই? তাহলে আমাকে কেন উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে? ইট ইজ সুইসাইড।’

কেন এটি সুইসাইড, সেই ব্যাখ্যা নিজেই দিলেন সামিরা। বললেন, ‘ও (ইমন) মেন্টালি সুইসাইডাল বাই নেচার। এর আগে তিনবার সুইসাইডের চেষ্টা করেছে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালের রেকর্ড চেক করলে জানা যাবে। ওখানে দুবারের রেকর্ড আছে। আরেক হাসপাতালে একবার আছে। তিনটাই আমার বিয়ের আগে। তিনটা ঘটনাই আমি জানি। একবার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে করেছিল। আরেকবার আমাকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য করেছে। আরেকবার ওর কিছু একটা হয়েছিল, সেটার জন্যও করেছিল।’

কথা প্রসঙ্গে সামিরা এ–ও বললেন, ‘একটা কথা বলতে চাই, ইমন কিন্তু ছবিতে ক্যারিয়ার করতে চায়নি। সে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু পড়াশোনা যখন এসএসসি, তখন একটা ঘটনার কারণে, এরশাদ (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ)–সংক্রান্ত, নীলা চৌধুরীকে নিয়ে, সেই ঘটনায় ওই সময় নীলা চৌধুরী জেলেও যান, ময়মনসিংহ কারাগারে ছিলেন। ইমন কিন্তু একদিনও মাকে দেখতে যায়নি জেলে। কেন? তখন তো ওর লাইফে আমি নাই। আমার তো ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছে। আর এই ঘটনা জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চের দিকের। ইমন কিন্তু তাঁর মাকে মা, আম্মা এসব ডাকত না। মহিলা বলে ডাকত। আমাদের সামনে অবশ্য ওভাবে বলত না। শুটিং সেটে যখন নীলা চৌধুরী যেতেন, তখন ইমন বলত, মহিলা আসছে। ডলি জহুর আন্টি একদিন সেটে থাকা অবস্থায় এমন ঘটনা ঘটেছিল। তখন বকা দিয়ে ইমনকে বলেছিল, “তুই এভাবে ডাকছিস কেন? তোর তো মা হয়।” ইমন তখন হেসে উড়িয়ে দিয়েছে।’

সামিরা আরও বললেন, ‘ইমনের মনে অনেক কষ্ট আগে থেকেই ছিল। ইমন অনেক কিছু দেখে বড় হয়েছিল, যেগুলো ওর দেখার দরকার ছিল না। এগুলো নিয়ে বাচ্চাদের হয় কি, আমরা এখন যেমন হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে অনেক পড়াশোনা করি, তখন তো এগুলো করতাম না। তখন আমাদের কোনো কাউন্সেলিংয়ের সুযোগও ছিল না। ছিল না রিহ্যাবিলিটিশেনরও। এখন রিহ্যাব আছে, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা আছে। আমরা তেমন কিছু অনুভব করলে কারও সঙ্গে আলাপ করে তা ভাঙার চেষ্টা করি, বোঝার চেষ্টা। তখন তো ইমন এসব কাউকে বলতে পারেনি। সালমান শাহ হওয়ার পর তো আরও বলতে পারেনি। যাকে বলবে, এটা নিউজ হয়ে যাবে।’

সিনেমাজগতে সালমান শাহ নামে পরিচিত হলেও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেতার পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, র‍্যাব, পিবিআই একে একে মামলাটির তদন্ত করে। চলেছে বিচার বিভাগীয় তদন্তও। সব কটি তদন্ত প্রতিবেদনে একে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও প্রতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার পর পরিবারের আপত্তির (নারাজি) মুখে তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়।

মাত্র ২৫ বছরের জীবন পেয়েছিলেন সালমান শাহ। এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রেখে গেছেন অসামান্য অবদান। বলা যায়, দেশের চলচ্চিত্রে ভিন্নধারার সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। ছবিতে তাঁর উপস্থিতি মানেই ছিল নিশ্চিত সাফল্য, প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়া দর্শকের সরব উপস্থিতি। ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য আর জনপ্রিয়তা—দুই–ই সমানতালে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। অভিনয়ের স্বতন্ত্র ধারা আর ফ্যাশন সচেতনতা তাঁকে নিয়ে যায় ভিন্ন এক উচ্চতায়। এভাবে তিনি নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ। দেখতে দেখতে তাঁর মৃত্যুর ২৬ বছর পেরিয়ে গেছে।

...

যে কারণে শাহরুখ খানকে রাজা বলা হয়

শাহরুখ খান অনন্ত আম্বানি বিবাহে: অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা বণিকের বিবাহের শাহরুখ খানের একটি হৃদয়-ছোঁয়া ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে করমর্দন করছেন কিং খান। এরপর অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে আসেন।

১২ জুলাই অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্ট বিয়ে করেন। শাহরুখ খান তার পরিবারের সাথে দম্পতির বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার স্টাইলিশ চেহারা দিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ সময় শাহরুখ খানের হৃদয় ছোঁয়া ভঙ্গি দেখা যায়।

অনন্ত আম্বানি-রাধিকা বণিকের বিবাহের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যাতে দেখা যায় শাহরুখ খান রজনীকান্তের সাথে করমর্দন করছেন এবং তারপরে তার স্ত্রীকে হাত জোড় করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এর পর শাহরুখ খান এগিয়ে যান এবং রজনীকান্তের পাশে বসে থাকা শচীন টেন্ডুলকারের কাছে যান এবং উষ্ণভাবে তার সাথে করমর্দন করেন।

অমিতাভ বচ্চনকে দেখে শাহরুখ খান নিজেকে থামাতে পারছেন না এবং অবিলম্বে বিগ বি-এর পা স্পর্শ করতে এবং তাঁর কাছ থেকে আশীর্বাদ নিতে দেখা যায়।

কিং খানও জয়া বচ্চনের পা ছুঁয়ে অমিতাভ বচ্চনের পাশে দাঁড়িয়ে আশীর্বাদ নেন। এই সময় তিনি জয়া বচ্চনকে কিছু বলেন, যা শুনে তিনি হাসতে শুরু করেন।

শাহরুখ খানের এই ভঙ্গিটি তার ভক্তরা বেশ পছন্দ করছেন। অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে থেকে শাহরুখ খানের অনেক ভিডিও সামনে এসেছে। দম্পতির বিয়েতে তাকে ট্র্যাডিশনাল লুকে দেখা গেছে।

অলিভ গ্রিন ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাকে শাহরুখ খানকে খুব সুন্দর লাগছিল। শাহরুখ খানও মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির সঙ্গে নেচেছেন। স্ত্রী গৌরী খানের সঙ্গে পাপারাজ্জিদের সামনেও মারমুখী পোজ দিয়েছেন তিনি।

...

নিপুণের ব্যবসাকে কেন প্রশ্নবিদ্ধ করলেন ডিপজল

চেম্বার আদালতে আবেদন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আর দায়িত্ব হাতে পেয়েই নিপুণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন সে। এবং অভিনেত্রীর ব্যবসাকে করেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। 

 

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে ডিপজল নিপুণকে নিয়ে আবারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। অভিনেতার ভাষায়, 

 

নিপুণকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এনে ভুল করেছিলাম আমি। এখন থেকে তাকে আমি চিনি না। আমার মনে হয়, নিপুণকে এখানে নিয়ে আসা আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এই টাইপের মেয়ে এখানে আনা ঠিক না বলে আমি মনে করি বলেছেন ডিপজল।

 

শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, দুই দুই বার সহ সভাপতি পদে আমি ছিলাম। আমার নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছে ছিল না। অনেকটা জোরাজুরি করেই নির্বাচনে অংশ নিই। কিন্তু এবার ইচ্ছা করেই নির্বাচনে এসেছি। কারণ গতবার অনেক অনিয়ম দেখেছি। তাই এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করি। 

 

এরপরই নিপুণের ব্যবসা নিয়ে মন্তব্য করেন এ অভিনেতা। প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রীর ব্যবসা নিয়ে। ডিপজল বলেন,আমি শুধু সিনেমায় অভিনয় করে টাকা উপার্জন করি না। আমার অনেক ব্যবসা রয়েছে। তেমনি নিপুনের শুধু অভিনয় করেই টাকা উপার্জন করছে না। অভিনয়ের পাশাপাশি নিপুণের মূল ব্যবসাটা কী?

 

ডিপজল আরও বলেন, শুনলাম নিপুণ পার্লার দিয়েছে। কী পার্লার ওইটা? কী হয় সেখানে? তা কি কেউ জানেন?

 

এরপর নিপুণের পার্লারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আফসোস ভরা কন্ঠে ডিপজল বলেন, ওই পার্লারে গিয়ে দেখেন ওইটা কী পার্লার? সেখানে কী হচ্ছে? ওই খবর তো কেউ রাখেন না! 

 

নিপুণ ও ডিপজলের রেষারেষি শুরু হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। ২০ এপ্রিল সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ ফলাফল ঘোষণায় সম্পাদক পদে ২২৫ ভোট পাওয়া ডিপজলের কাছে নিপুণ আক্তার ২০৯ ভোট পেয়ে হেরে যান।

 

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের এক মাস পেরোতেই (১৫ মে) আদালতে ডিপজলের বিরুদ্ধে রিট করেন। এরপর ২০ মে হাইকোর্ট ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ দেন। দায়িত্ব পালনে আইনি বাধা কাটাতে রোববার (২৬ মে) চেম্বার আদালতে আবেদন জানান ডিপজল। তার একদিন পরই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব ফিরে পান ডিপজল। 

...

খেলাধুলা

মেসিকে ছাড়াই জিতলো আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টাইন মহাতারকা না থাকলেও ঠিকই দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-নীল শিবির। আসন্ন কোপা আমেরিকাকে সামনে রেখে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। তবে চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলা হয়নি লিওনেল মেসির। 

 

আর্জেন্টিনার হয়ে গোল তিনটি করেছেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এনজো ফার্নান্দেজ এবং জিওভানি লো সেলসো। শনিবার (23 মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন ফিনান্সিয়াল ফিল্ড স্টেডিয়ামে এল সালভাদরের বিপক্ষে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়ে ৩-০ গোলের বড় ছিনিয়ে নিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

 

ম্যাচের ১৬তম মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার কর্ণার কিক থেকে বাড়ানো বলে দারুণ এক হেডে লে আলবিসেলেস্তেদের লিড এনে দেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় আর্জেন্টিনা। এরপর ক্রমেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে আক্রমণ তৈরি করে তারা। ফলে ম্যাচের শুরুতেই লিডের দেখা পায় স্কালোনির শিষ্যরা।

 

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে সমতা ফেরানোর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সালভাদর। তবে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলবঞ্চিত হয় তারা। লিড নেওয়ার পর দলটির বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ীরা।

 

প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। চেলসির এই তারকার দর্শনীয় এক গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

 

লো সেলসোর গোলে ৩-০ ব্যবধানে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে স্কালোনির শিষ্যরা। বিরতি থেকে ফিরেও ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮০ ধাপ পিছিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দাপট বজায় রাখে স্কালোনির শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের ব্যবধান বাড়ায় লে আলবিসেলেস্তেরা।

 

এবং, দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আগামী ২৬ মার্চে যুক্তরাষ্ট্রেই মাঠে নামবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা