রোজকার ব্যবহারেই লুকিয়ে বিষ! ৫টি জিনিসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শরীর

লাইফস্টাইল | ফোরপিলার্সবিডি.কম
প্রকাশিত:
রোজকার ব্যবহারেই লুকিয়ে বিষ! ৫টি জিনিসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শরীর

শরীর থেকে টক্সিনের মাত্রা কমাতে পারলে পেট ও মস্তিষ্ক—দুইয়েরই উপকার হয়। সেই সঙ্গে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকে। জেনে নিন, বাড়িতে নিয়মিত ব্যবহার হওয়া কোন জিনিসগুলি লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি করছে শরীরের।

১) পুরনো ননস্টিক পাত্র
ননস্টিক পাত্রের উপরের আস্তরণ একবার উঠে যেতে শুরু করলে তা আর ব্যবহার না করাই ভালো। সাধারণত ননস্টিক পাত্রের ওপরে টেফলনের প্রলেপ দেওয়া থাকে, যা এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। নিয়মিত মাজা-ঘষার কারণে টেফলনের গায়ে আঁচড় পড়ে এবং সেখান থেকে ‘পিএফওএ’ নামক রাসায়নিক খাবারে মিশে যেতে পারে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

২) প্লাস্টিকের বোতল
বাজারে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ পানীয় জলের বোতল একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকে তৈরি। দীর্ঘদিন ধরে এই বোতলে জল খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এই বোতল তৈরিতে ব্যবহৃত ‘বিসফেনল এ’ বা ‘বিপিএ’-সহ নানা উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে রক্তচাপের হেরফের, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া ছাড়াও ইনসুলিন ক্ষরণে প্রভাব ফেলে। ফলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে, এমনকি কিডনির গুরুতর রোগও দেখা দিতে পারে।

৩) সুগন্ধি মোমবাতি বা এয়ার ফ্রেশনার
বাজারে পাওয়া সুগন্ধি মোমবাতি ও এয়ার ফ্রেশনারে থ্যালেট এবং কিছু ক্ষতিকর অর্গ্যানিক যৌগ থাকে। এগুলি শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করার পাশাপাশি প্রদাহও সৃষ্টি করতে পারে। এর বদলে প্রাণিজ বা উদ্ভিজ্জ স্নেহপদার্থ থেকে তৈরি ‘স্টেরিন’ বা ‘বিওয়াক্স’-নির্ভর মোমবাতি ব্যবহার করা ভালো। এছাড়া সুগন্ধির জন্য কর্পূর বা ধুনো ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪) সুগন্ধিযুক্ত কাপড় ধোয়ার সাবান
কাপড় কাচার জন্য ব্যবহৃত সুগন্ধিযুক্ত সাবানেও থাকে থ্যালেট যৌগ এবং সিন্থেটিক রাসায়নিক। এগুলি শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। এর বদলে সুগন্ধিবিহীন সাবান ব্যবহার করা ভালো এবং প্রয়োজনে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫) কৃত্রিম চিনি
‘আর্টিফিশিয়াল সুইটেনার’-এর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র মতে, এই কৃত্রিম চিনির অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অ্যাসপার্টেম, সুক্রোজ়, সুক্রালোজ়, স্যাকারিন, নিওটেম ও স্টিভিয়া—এই রাসায়নিক উপাদানগুলি থাকে ডায়েট পানীয়, জাঙ্ক ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে। গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের সুইটেনার টাইপ-টু ডায়াবিটিস, হৃদরোগ, কার্ডিয়োভাসকুলার সমস্যা, কিডনি রোগ এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।

লাইফস্টাইল বিভাগের আরও খবর

গভীর রাতেও ঘুম আসে না? জানুন কারণ ও সমাধান

আপনি কি কখনও দেখেছেন—রাত গভীর হয়ে গেছে, কিন্তু ঘুম ঠিক মতো আসছে না? এটি শুধু ক্লান্তির কারণ নয়, দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। তবে কিছু সহজ পরিবর্তন এবং অভ্যাস মানলে ঘুমের সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়।

কেন আসে না ঘুম?

ঘুম না হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ:

  • মানসিক চাপ: কাজ বা ব্যক্তিগত চিন্তা মস্তিষ্ককে শান্ত করতে দেয় না।

  • অনিয়মিত জীবনযাপন: রাতের খাবার, ফোন বা কম্পিউটারের অতিরিক্ত ব্যবহার।

  • ক্যাফেইন ও পানির অতিরিক্ত গ্রহণ: রাতে কফি, চা বা বেশি পানি ঘুমে বাধা দেয়।

  • শরীরের ঘড়ি বিঘ্ন: প্রতিদিন ভিন্ন সময়ে শোয়া বা ওঠা।

ঘুম ঠিক রাখতে ৬টি সহজ কৌশল

  1. নিয়মিত ঘুমের সময়: প্রতিদিন একই সময়ে শোবেন ও উঠবেন।

  2. শারীরিক কার্যকলাপ: দিনের মধ্যে হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাটি সাহায্য করে।

  3. স্ক্রিন টাইম কমান: রাতে ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার সীমিত করুন।

  4. হালকা রাতের খাবার: ভারী বা মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে হালকা খাবার গ্রহণ করুন।

  5. মন শান্ত রাখুন: ধ্যান, শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম বা হালকা পড়াশোনা।

  6. পরিবেশ ঠিক রাখুন: ঘরের আলো, তাপমাত্রা ও বিছানা আরামদায়ক রাখুন।

অতিরিক্ত টিপস

  • রাতের চা ও কফি এড়িয়ে চলুন।

  • ঘুমের আগে হালকা গরম শাওয়ার নিতে পারেন।

  • দীর্ঘদিন ঘুম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন: ঘুম শুধু বিশ্রাম নয়, এটি শরীর ও মনের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। নিয়মিত ঘুম মানলে আপনি দিনে সতেজ, মনও স্থির থাকে।

আমেরিকা থেকে কাজী নজরুলকে স্মরণ করলেন ঢালিউড কিং শাকিব

ঢালিউডের মেগাস্টার শাকিব খান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তবে প্রবাসে থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। ফেসবুকে নতুন ছবির পোস্টার প্রকাশ করে অনুরাগীদের উচ্ছ্বাস জাগিয়েছেন এই নায়ক। পাশাপাশি নানা বিষয়েও তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় দেখা যায়।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করলেন শাকিব। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) কবির ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা ১৩৮৩ সালের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।

জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবসে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন অসংখ্য অনুরাগী। কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন শাকিবও। তিনি লেখেন— ‘আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা...’

এর আগে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকীতে শোক জানিয়ে আলোচনায় আসেন শাকিব খান। এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে শাকিব বলেছিলেন— ‘দুঃখজনকভাবে অনেক সময় আমাদের জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নাম, সম্মান এবং ত্যাগ শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এটা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।’

মানুষ বয়সে নয়, মনে বুড়ো হয়।

আমরা সবাই জানি — সময়ের সাথে সাথে ক্যালেন্ডারের পাতায় নতুন সংখ্যা যোগ হয়। চুলে রূপালি ঝলক আসে, মুখে হাসির সাথে সাথে কয়েকটা ভাঁজও জমে যায়, শরীর হয়তো আগের মতো তৎপর থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে — এই পরিবর্তনগুলো কি সত্যিই আমাদের ‘বুড়ো’ করে দেয়?
সোজা উত্তর: না।

বয়স তো কেবল সময়ের হিসাব।
আসল বার্ধক্য শুরু হয় তখনই, যখন মন থেকে স্বপ্ন উধাও হয়ে যায়, শেখার ইচ্ছে থেমে যায়, হাসি আর কৌতূহল ফুরিয়ে যায়।

 

মন তরুণ রাখার গোপন সূত্র

মানুষের মনের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে তার প্রকৃত বয়স।
কেউ হয়তো ৭৫ বছর বয়সেও পাহাড়ে চড়ার পরিকল্পনা করছে, গিটার শিখছে, বা নতুন কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করেছে। আবার কেউ ৩০ বছর বয়সেই মনে করছে — “সব শেষ, আর কিছু করার নেই।”
পার্থক্যটা একটাই — মন কতটা জীবন্ত আছে।

জাপানের কিমুরা সান ৯০ বছর বয়সে ফরাসি ভাষা শেখা শুরু করেছিলেন, শুধু প্যারিস ভ্রমণে গিয়ে মানুষের সাথে নিজের ভাষায় কথা বলার আনন্দ পেতে।

বাংলাদেশের এক শিক্ষক অবসর নেওয়ার পর ৬৫ বছরে এসে ইউটিউব চ্যানেল খুলে রান্নার রেসিপি শেখানো শুরু করেন। আজ তার লাখো অনুসারী।

 

মনকে তরুণ রাখার কিছু উপায়

  • নতুন কিছু শিখুন: কোনো বাদ্যযন্ত্র, ভাষা বা প্রযুক্তি।

  • বই পড়ুন: গল্প, জীবনী, ভ্রমণ — যা মনকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে।

  • ভ্রমণ করুন: নতুন জায়গা নতুন অভিজ্ঞতা দেয়।

  • মানুষের সাথে মেলামেশা করুন: বন্ধু, পরিবার, এমনকি নতুন পরিচিতদের সাথে আলাপ করুন।

  • হাসুন আর খেলুন: আনন্দের জন্য বয়সের কোনো বাধা নেই।

 

বয়সকে নয়, মনকে যত্ন দিন

যেমন শরীরের জন্য ব্যায়াম জরুরি, তেমনই মনের জন্যও দরকার ইতিবাচক চিন্তা, কৌতূহল আর আনন্দ।
দুনিয়ায় অসংখ্য মানুষ আছেন যারা জীবনের শেষ প্রান্তেও গান গেয়ে, ছবি এঁকে, পাহাড়ে উঠে বা নতুন ব্যবসা শুরু করে প্রমাণ করেছেন — বয়স নয়, মনই আসল চালিকা শক্তি।

 

ঘড়ির কাঁটা আপনার বয়স গুনতে পারে, কিন্তু আপনার মনের বয়স মাপতে পারে না।
তাই যতদিন শ্বাস আছে, মনকে তরুণ রাখুন।
স্বপ্ন দেখুন, নতুন কিছু শিখুন, আর প্রতিদিন আনন্দে বাঁচুন।

কারণ, সত্যিই— মানুষ বয়সে নয়, মনে বুড়ো হয়।

সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে? কীভাবে বুঝবেন?

এক ঘরে থাকছেন। এক ঘরে খাচ্ছেন। এক বিছানায় ঘুমোচ্ছেন। তা সত্ত্বেও বারবার মনে হচ্ছে সঙ্গী অনেকটা বদলে গিয়েছে? মন বলছে সে আর আগের মতো আপনার প্রতি আগ্রহী নন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যস্ত জীবন। তার উপর আবার সোশাল মিডিয়ার প্রভাব। সব মিলিয়ে দুটি মানুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে খুব কম সময়েই। মানসিক টানাপোড়েন নিয়ে তো আর সম্পর্ক চলে না! বরং এই লক্ষণগুলি দেখে নিশ্চিত হতে পারেন, আপনার সম্পর্কে সত্যিই দূরত্ব বাড়ছে কিনা।

ধরুন আগে অফিস থেকে ফেরার পর সঙ্গী আপনার সঙ্গে সময় কাটাতেন। কিংবা অফিস থেকে বারবার ফোন করতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই সঙ্গীরই আচরণ যদি বদলে যায়, তবে অবশ্যই ভাবার সময় এসেছে।

যদি দেখেন আপনাকে সময় দিচ্ছেন না। কথা বলাতেও তার অনীহা। কিংবা দিনরাত মোবাইল কিংবা সোশাল মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত। তবে অবশ্যই সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। কী কারণে তার আচরণ বদলে গিয়েছে, তা নিয়ে কথা বলুন।

সঙ্গীর সঙ্গে সত্যি দূরত্ব হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য আপনি হয়তো তার সঙ্গে অভিনয় করছেন। অল্পতেই চিৎকার চেঁচামেচি করছেন, কান্নাকাটি করছেন, তা সত্ত্বেও সঙ্গীর থেকে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন না? সঙ্গী আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? তবে বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক উষ্ণতা হারিয়েছে।

শীতল এই সম্পর্ক কতদিন আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন দুজনে, তা নিয়ে অবশ্যই ভাবনা-চিন্তার সময় এসেছে।

এক বিছানায় রোজ ঘুমোচ্ছেন। কিন্তু কাছে আসা হচ্ছে না? যৌনতাতেও অনীহা সঙ্গীর? তবে এখনই কথা বলুন। সঙ্গী কী নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছেন নাকি আপনার কোনও কিছুতে তার অভিমান হয়েছে, সে খোঁজ নিন।

মনে রাখববেন, সম্পর্ক গড়তে অনেক সময় লাগলেও, ভাঙা অনেক সহজ। তাই তা সহজে হতে দেবেন না। দূরত্ব বাড়তে দেবেন না। বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, দুজনে কথা বলুন। দূরত্ব কমান।