ইসরায়েলি কারাগারে কেন এত ফিলিস্তিনি শিশু?

বিশেষ সংবাদ | ফোরপিলার্সবিডি.কম
প্রকাশিত:
ইসরায়েলি কারাগারে কেন এত ফিলিস্তিনি শিশু?

গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওয়তায় ইসরায়েলে বন্দি ২৩ ফিলিস্তিনি শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে; যার মাধ্যমে ইসরায়েলের সামরিক আদালতে শিশুদের বিচারের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।

গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর দুই দফায় অন্তত ২৯০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর ভিত্তিক আদামির প্রিজনার সাপোর্ট এবং হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, সাম্প্রতিক এই বন্দি বিনিময়ের আগে ইসরায়েলের কারাগারে ৩২০ ফিলিস্তিনি শিশু বন্দি ছিল।

শিশু বন্দি সম্পর্কে কী জানা গেল?

২০১৬ সালে ইসরায়েল নতুন একটি আইন পাস করে। যার আওতায় ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের অপরাধী সাব্যস্ত করে প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো বিচার ও দণ্ড দেওয়া যাবে। আগে যা ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রযোজ্য ছিল। তবে নতুন আইন অনুযায়ী দণ্ড দেওয়া গেলেও তা ১৪ বছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।

ইসরায়েলের আইনসভা ক্নেসেট ২০১৬ সালের ২ অগাস্ট আইনটি প্রণয়ন করে। আইন প্রণয়নের সময় আইনসভার বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘হত্যা, হত্যা চেষ্টা এবং হত্যায় জড়িতরে মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত শিশুদের বন্দি করার’ অনুমতি দেয়া হলো। এমনকি তার বয়স ১৪ বছরের নিচে হলেও।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে ২০১৫ সালে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আহমেদ মানাসরা নামে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তারের পর নতুন এ আইনটি পাস করা হয়। নতুন আইন পাসের পর তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং তা তার চৌদ্দতম জন্মদিনের দিন বাস্তবায়িত করা হয়। পরে আপিল করা হলে তার দণ্ড কমিয়ে নয় বছর করা হয়।

বেসরকারি সংস্থা সেইভ দ্য চিলড্রেনের হিসাব অনুযায়ী গত ২০ বছরের ১০ হাজার শিশুকে ইসরায়েলি সামরিক কারাগারে রাখা হয়।

শিশুদের গ্রেপ্তারের কারণের মধ্যে পাথর নিক্ষেপসহ অনুমতি ছাড়াও ১০ জন একসঙ্গে জমায়েত হলেও তা প্রযোজ্য।

কোন আইনে শিশুদের আটক?

ইসরায়েল বিতর্কিতভাবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বেসামরিক আদালতে বিচার না করে সামরিক আদালতে বিচার করে থাকে। যদিও আন্তর্জাতিক আইন ইসরায়েলকে তার অধিকৃত অঞ্চলে সামরিক আদালত পরিচালনার অনুমতি দেয়।

দখলকৃত পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেমে দুই ধরনের বিচার ব্যবস্থা চালিয়ে থাকে ইসরায়েল। সেখানে বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিদের সাধারণ এবং ফিলিস্তিনিদের সামরিক আদালতে বিচার করা হয়ে থাকে। যার ফলে অনেক ফিলিস্তিনি যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই কারাবন্দি হয়।

২০২৩ সালের নভেমআবরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন পরিচালক ওমর শাকির লিখেছিলেন, “রাতে অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি শিশুদের গ্রেপ্তার করে, অভিভাবকের উপস্থিতি ছাড়াই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ১২ বছর বা তার কম বয়সীদের বিচারকের সামনে উপস্থান করা ছাড়াই দীর্ঘ সময় আটকে রাখে।”

ইসরায়েলি সিভিল রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম তীরের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ফিলিস্তিনি শিশু বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত আটক থাকে; আর ইসরায়েলি শিশুদের হার ২০ শতাংশেরও কম।

ইসরায়েলে বন্দি শিশুদের ২০২০ সালে থেকে প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর একবার ১০ মিনিট করে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেয়।

মুক্তিপ্রাপ্তদের কত জন শিশু?

অস্ত্রবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার ইসরায়েল দুইশ’ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে ১২০ জন যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত ছিল। এছাড়া দুই শিশু রয়েছে যাদের বয়স ১৫ বছর। আর সবচেয়ে বয়স্ক মুহাম্মদ আল-তৌস ৬৯ বছর বয়সী। ১৯৮৫ সালে ইসরায়েলের সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে গ্রেপ্তারের পর ৩৯ বছর কারাবন্দি ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তাক্ত আগ্রাসনের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে শনিবার দ্বিতীয় দফা হিসেবে এদের মুক্তি দেওয়া হয়। প্রথম দফায় তিন ইসরায়েলি বন্দির বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। যার মধ্যে ৬৯ জন নারী ও ২১ শিশু ছিল।

এদের মধ্যে মাত্র আটজন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের হামলার আগে আটক হয়েছিল। এ হামলায় ১১শ’ নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে ধরে নিয়ে আসে তারা। এরপরই গাজায় সর্বাত্মক হামলা চালায় ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি এসব বন্দির মধ্যে অনেকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি কারাগারে রয়েছেন।

ফিলিস্তিন ন্যাশনাল লিবারেশন মুভমেন্ট (ফাতাহ) এর সহপ্রতিষ্ঠাতা মারওয়ান বারঘৌতি ২২ বছর ধরে ইসরালেলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। দখলের আগে পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণে ছিল ফাতাহর।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক তামার ক্বারমাউত  আল জাজিরাকে বলেন, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি পরিবারগুলির জন্য ‘অনেক বড় উপশম’ হলেও তা ঘটছে “ইসরায়েলি দখলের ভয়াবহ বাস্তবতার মধ্যে”।

তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ শেষ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দখল শেষ করার মতো বড় একটি চুক্তিতে এসব বন্দিদের মুক্তি পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কঠোর বাস্তবতা হলো দখল অব্যাহত আছে।

কত ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে?

আদামিররে রোববারের তথ্য অনুসারে ইসরায়েলের কারাগারে ১০ হাজার চারশ’ ফিলিস্তিনি রয়েছে, যারা গাজা ও পশ্চিম তীরের। ফিলিস্তিনের দখলকৃত অঞ্চলের প্রতি পাঁচজনে একজন কোনো না কোনো সময় গ্রেপ্তার হয়ে বিচারের সম্মুখীন হয়েছে। তবে শুধু পুরুষদের মধ্যে এ সংখ্যা দ্বিগুণ; প্রতি পাঁচজনে দুইজন।

ইসরায়েলের ১৯টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে একটি দখলকৃত পশ্চিমতীরে যেখানে ফিলিস্তিনি বন্দিদের রাখা হয়। গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল সেখানে স্বতন্ত্র মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। ফলে ভেতরে কত বন্দি এবং তারা কী অবস্থায় রয়েছে তা জানা কঠিন হয়ে যায়।

গাজায় আগ্রাসন শুরু হওয়ার আগে ও পরে বন্দি হওয়া ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, কারাগারে তারা মারধর, নির্যাতন এবং অবমাননার শিকার হয়েছেন।

বিনা অভিযোগে আটক কত?

আদামির তথ্যানুসারে ইসরায়েল প্রশাসনিক আটকাদেশের অধীনে ৩ হাজার ৩৭৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দি আছে। প্রশাসনিক আটকাদেশ হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে কাউকে বিনা বিচার বা বিনা অভিযোগে কারাবন্দি করে রাখা যায়।

প্রশাসনিক আটকাদেশে আটকদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ‘গোপন প্রমাণ’ থাকার দাবি করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, যা তাদের আইনজীবীদেরও দেখার অনুমতি নেই। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই তারা এমনটি করে আসছে।

 ৪১ শিশু ও ১২ নারী প্রশাসনিক আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে বলে আদামির জানিয়েছে।

এরপর কী?

যুদ্ধবিরতির প্রথম দফার ছয় সপ্তাহের মধ্যে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ২৬ জন অন্যান্য বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। পরবর্তী বন্দি বিনিময় আগামা শনিবার হওয়ার কথা রয়েছে।

অনেকের প্রত্যাশা পরবর্তী ধাপ ২৩ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণ নেওয়া গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। এ পর্যাযের আলোচনা আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আল জাজিরা অবলম্বনে

বিশেষ সংবাদ বিভাগের আরও খবর

আজ আমেরিকান দূতাবাস ও ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ঘোষণা!

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বন্ধ থাকবে। বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ভারতীয় ভিসা সেন্টারও।

 

নোটিসে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে কবে ভিসা পরিষেবা চালু করা হবে সেটি এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হইবে।

 

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী চলমান ছাত্র বিক্ষোভ গত কয়েকদিন ধরে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা শহর, এর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং অন্যান্য শহরজুড়ে সহিংস সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বন্ধ থাকবে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকা উচিত এবং তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। বিশেষত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের এলাকায়। কোনো বড় সমাবেশের আশেপাশে আপনাদের বিক্ষোভ এড়িয়ে চলা উচিত এবং সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

 

বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি অবস্থার জন্য মার্কিন নাগরিকদের DhakaACS@state.gov-তে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

 

অন্যদিকে, বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একটি নোটিসে বলা হয়েছে, উদ্ভূত অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশে সকল ধরনের ভিসা পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে ইবি ও ডিআইইউতে ইসতিসকার নামাজ আদায়

সারাদেশে তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নামাজ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম খতিব মো. আশরাফ উদ্দিন খান। 

এছাড়া  রোববার ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির খেলার মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়।

নামাজ শেষে সবাই মহান আল্লাহ পাকের কাছে মাফ চেয়ে তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি, পশুপাখির কষ্ট লাঘব, ফসল রক্ষা ও বৃষ্টির জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এসময় বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে সকলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এসময় নামাজ আদায়কৃত শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ক্যাম্পাসে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই তীব্র রোদের তাপে চারপাশের পরিবেশ গরম হয়ে থাকে। এই নামায আদায়ের উছিলায় যেনো মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে বৃষ্টি বর্ষণ করে তা প্রার্থনা করছি। 

দেশে পুরুষের তুলনায় মোবাইল বেশি ব্যবহার করছে নারীরা

দেশে গত কয়েক দশকে বেড়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার। দিন দিন পুরুষদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে নারীদের আগ্রহ বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে পুরুষ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল ৮৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে মোবাইল ব্যবহারকারী পুরুষ।

অন্যদিকে, ২০২২ সালে নারী মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে নারী ব্যবহারকারী যেখানে বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, সেখানে পুরুষ ব্যবহারকারী কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।

এদিকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিক থেকে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ছিল বিস্তর বৈষম্য। তবে দিন দিন সেই বৈষম্য দূর হচ্ছে। বর্তমানে শহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রামেও বাড়ছে মোবাইল-ইন্টারনেটের ব্যবহার। এমনকি বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় এখন গ্রামে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে শহরে কমছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার। যদিও এখনও মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী শহরেই বেশি।

বিবিএসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার মোট জনসংখ্যার ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার শহরে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গ্রামে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে এখনও শহরে মোবাইলের ব্যবহার বেশি। তবে বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।

২০২০ সালে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে ব্যবহারকারী। আর ২০২২ সালে ছিল ৭১ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।

অন্যদিকে, ২০২২ সালে শহরে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০২০ সালে শহরে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল। চার বছরে বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ চার বছরের ব্যবধানে শহরের চেয়ে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

শহরের সঙ্গে গ্রামেও বাড়ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ছিল ৪১ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে গ্রামে ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। শহরে এই সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দিক থেকেও বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিসম্প্রতি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পেছনে রয়েছে অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। অনলাইনে জুয়া খেলার হার সবচেয়ে বেশি। তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ঈদে নতুন নোট মিলবে রোববার থেকে, পাবেন যেসব শাখায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী রোববার (৩১ মার্চ) থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট বিনিময় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন শাখার কাউন্টারের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, গ্রাহকরা সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন তপশিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখার মাধ্যমেও নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন।

পাশাপাশি একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে-

১. জনতা ব্যাংক পিএলসি, পোস্তগোলা শাখা, ঢাকা।

২. এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা।

৩. উত্তরা ব্যাংক পিএলসি, যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা।

৪. পূবালী ব্যাংক পিএলসি, সদরঘাট শাখা, ঢাকা।

৫. মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, বাবু বাজার শাখা, ঢাকা।

৬. দি সিটি ব্যাংক পিএলসি, ইসলামপুর শাখা, ঢাকা।

৭. জনতা ব্যাংক পিএলসি, হাটখোলা রোড শাখা (মহিলা), ঢাকা

৮. ওয়ান ব্যাংক পিএলসি, লালবাগ শাখা, ঢাকা।

৯. জনতা ব্যাংক পিএলসি, আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

১০. অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

১১. জনতা ব্যাংক পিএলসি, টিএসসি কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

১২. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ঢাকা।

১৩. আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ শাখা, ঢাকা।

১৪. সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, প্রিন্সিপাল শাখা, ঢাকা।

১৫. ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি, লোকাল অফিস শাখা, ঢাকা।

১৬. মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, ঢাকা।

১৭. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা মেইন শাখা, ঢাকা।

১৮. রূপালী ব্যাংক পিএলসি, স্থানীয় কার্যালয়, ঢাকা।

১৯. এক্সিম ব্যাংক লি, মতিঝিল শাখা, ঢাকা।

২০. এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, দিলকুশা শাখা, ঢাকা।

২১. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

২২. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, মৌলভীবাজার শাখা, ঢাকা।

২৩. উত্তরা ব্যাংক পিএলসি, বাবু বাজার শাখা, ঢাকা।

২৪. দি সিটি ব্যাংক পিএলসি, মগবাজার শাখা, ঢাকা।

২৫. এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, মগবাজার শাখা, ঢাকা।

২৬. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, ঢাকা।

২৭. সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, কাকরাইল শাখা, ঢাকা।

২৮. এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, মালিবাগ শাখা, ঢাকা।

২৯. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, খিলগাঁও শাখা, ঢাকা।

৩০. অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রামপুরা টিভি শাখা, ঢাকা।

৩১. এবি ব্যাংক পিএলসি, প্রগতি স্বরণী শাখা, ঢাকা।

৩২. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, প্রগতি স্বরণী শাখা, ঢাকা।

৩৩. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, ঢাকা।

৩৪. ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, বনশ্রী শাখা, ঢাকা।

৩৫. ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, নন্দীপাড়া শাখা, ঢাকা।

৩৬. আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, নন্দীপাড়া শাখা, ঢাকা।

৩৭. ওয়ান ব্যাংক পিএলসি, বাসাবো শাখা, ঢাকা।

৩৮. ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ, বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা।

৩৯. প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি, বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা।

৪০. গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, বনানী শাখা, ঢাকা।

৪১. প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি, বনানী শাখা, ঢাকা।

৪২. ব্যাংক এশিয়া লিঃ, বনানী–১১ শাখা, ঢাকা।

৪৩. আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, গুলশান শাখা, ঢাকা।

৪৪. যমুনা ব্যাংক পিএলসি, গুলশান কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

৪৫. ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, মহাখালী শাখা, ঢাকা।

৪৬. এসবিএসি পিএলসি, বিজয়নগর শাখা, ঢাকা।

৪৭. সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

৪৮. ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

৪৯. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, ঢাকা।

৫০. প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, এ্যালিফেন্ট রোড শাখা, ঢাকা।

৫১. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, ঢাকা।

৫২. ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, শ্যামলী শাখা, ঢাকা।

৫৩. সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা

৫৪. এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি, ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা।

৫৫. ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, সাত মসজিদ রোড শাখা, ঢাকা।

৫৬. যমুনা ব্যাংক পিএলসি, লালমাটিয়া শাখা, ঢাকা।

৫৭. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, রায়ের বাজার শাখা, ঢাকা।

৫৮. ডাচ- বাংলা ব্যাংক পিএলসি, নিউমার্কেট শাখা, ঢাকা।

৫৯. ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি, মিরপুর শাখা, ঢাকা।

৬০. এক্সিম ব্যাংক লিঃ, মিরপুর শাখা, ঢাকা।

৬১. ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, মিরপুর-১ শাখা, ঢাকা।

৬২. অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, মিরপুর শাখা, মিরপুর-১, ঢাকা।

৬৩. জনতা ব্যাংক পিএলসি, রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত কর্পোরেট শাখা)।

৬৪. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ইব্রাহীমপুর শাখা, ঢাকা।

৬৫. ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, উত্তরা শাখা, ঢাকা।

৬৬. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, উত্তরা মডেল টাউন শাখা, ঢাকা।

৬৭. ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি, এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, ঢাকা।

৬৮. রূপালী ব্যাংক পিএলসি, উত্তরা মডেল টাউন কর্পো: শাখা, ঢাকা।

৬৯. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, কোর্ট বিল্ডিং শাখা, গাজীপুর।

৭০. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, গাজীপুর।

৭১. মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, নারায়ণগঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ।

৭২. এক্সিম ব্যাংক লিঃ, শিমরাইল শাখা, নারায়ণগঞ্জ।

৭৩. এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি, ভুলতা শাখা, নারায়ণগঞ্জ।

৭৪. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, কাঁচপুর শাখা, নারায়ণগঞ্জ।

৭৫. প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি, নারায়ণগঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ ।

৭৬. মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, সাভার শাখা, সাভার।

৭৭. প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, সাভার শাখা, সাভার।

৭৮. ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ, কেরানীগঞ্জ শাখা, কেরানীগঞ্জ।

৭৯. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, মুন্সীগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, মুন্সীগঞ্জ।

৮০. ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, শ্রীনগর শাখা, মুন্সীগঞ্জ।

শেয়ারনিউজ, ৩০ মার্চ ২০২৪