শুধু জামাকাপড়ই নয়, ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া যায় অনেক কিছুই

পরামর্শ | ফোরপিলার্সবিডি.কম
প্রকাশিত:
শুধু জামাকাপড়ই নয়, ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া যায় অনেক কিছুই

হাতে জামাকাপড় ধুতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তাই সেক্ষেত্রে ওয়াশিং মেশিনই প্রথম পছন্দ। অনেকেই ভাবেন জামাকাপড় ছাড়া আর কিছুই কাচা যায় না ওয়াশিং মেশিনে। সে কারণে গেরস্থালির বহু সামগ্রীই হাতে কেচে নেন বহু গৃহবধূ। তবে সে সব অতীত, জানেন কী পোশাক আশাক ছাড়াও গেরস্থালি আরও বহু সামগ্রীই কাচা যায় ওয়াশিং মেশিনে।

বাড়ির দরজা, জানলায় থাকা পর্দা অনায়াসে ওয়াশিং মেশিনে ধুতে পারেন। কিন্তু তার জন্য বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পর্দার উপরের অংশের লাগানো থাকা রিংগুলোকে একটি দড়ির সাহায্যে বেঁধে নিতে হবে। তারপর তা ওয়াশিং মেশিনে ধুতে দিতে হবে। তাতে পর্দার কোনও ক্ষতি হবে না।

আপনার ব্যবহার করা ব্যাগও ওয়াশিং মেশিনে ধুতে পারেন। আগে দেখে নেবেন ব্যাগের ভিতরে যেন পেন, পেনসিল জাতীয় কোনও ছোট জিনিসপত্র থেকে না যায়। ব্যাগ ধুতে দেওয়ার সময় ভিতরে তোয়ালে রেখে দেবেন। তাতে ব্যাগের আকারের কোনও বদল হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

আপনার বাড়িতে কি খুদে সদস্য রয়েছে? তবে তো সফট টয় থাকবেই। সেই সফট টয় ওয়াশিং মেশিনে কাচতে পারেন। সেক্ষেত্রে কিছুটা বড় আকারের বালিশের কভার নিন। ওই বালিশের কভারের মধ্যে সফট টয়গুলি ঢুকিয়ে দিন। মুখটা ভালো করে বেঁধে ফেলুন। তারপর ওয়াশিং মেশিনে কাচতে দিন। তাতে সফট টয়গুলোর কোনও ক্ষতি হবে না।

পোষ্যের গলার বেল্টও আপনি ওয়াশিং মেশিনে কাচতে পারেন। তবে আগে ব্রাশ দিয়ে ভালো করে বেল্টটি পরিষ্কার নিন। জীবাণুর হাত থেকে পোষ্যকে রক্ষা করতে চেষ্টা করুন গরম পানি দিয়ে ধুতে। পরে কড়া রোদে তা শুকিয়ে নিন।

শরীরচর্চার জন্য যোগাসন করেন অনেকেই। ওই যোগা ম্যাটও চাইলে ওয়াশিং মেশিনে কাচতে পারেন। অবশ্যই ঠান্ডা জলে জেন্টল সাইকেল মোডে কাচতে হবে। জলে এক চা চামচ হোয়াইট ভিনিগার দিতে পারেন।

পরামর্শ বিভাগের আরও খবর

বিয়েতে বাজেট কম? কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখুন

বাঙালির বিয়ে মানেই দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি। প্রায় এক বছর আগে থেকেই বিয়ের কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়। এই কেনাকাটা করার সময়েই হবু বর বা কনে কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যেরা বেশ কিছু ভুল করে ফেলেন। অনেক ক্ষেত্রেই কিনে ফেলা হয় অপ্রয়োজনীয় জিনিস। ফলে বেড়ে যায় খরচও। ফলে বাজেট কম থাকলে বিয়ের কেনাকাটা করার আগে বেশ কয়েকটি বিষয় মেনে চলতেই হবে।

বেনারসি বাদেও যা যা কিনবেন

বিয়ের দিন সন্ধ্যায় বেশিরভাগ কনেই বেনারসি পরেন। তা ছাড়াও থাকে, গায়ে হলুদ, বৌভাত মতো অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানগুলিতে পরার জন্যেও উপযুক্ত শাড়ি কিনুন। সেই ক্ষেত্রে সিল্ক, তাঁত বা হ্যান্ডলুম শাড়িও কিনতে পারে।

একই সঙ্গে বিয়ের পরে প্রতিদিন পরার জন্যে কিছু শাড়ি অবশ্যই কিনে রাখুন। অযথা প্রচুর ভারী কাজের শাড়ি কিনবেন না। প্রতিদিন পরার মতো কুর্তাও কিনে রাখতে পারেন। যেগুলি পরে আপনি অফিসেও যেতে পারেন।

প্রসাধনী

বিয়ে মানেই কনের কেনাকাটার তালিকায় থাকে একাধিক প্রসাধনী। উপহারের ডালিতে সাজিয়ে দেওয়ার জন্যই হোক কিংবা নিয়মিত ব্যবহার, যে কোনও নারীর কাছেই প্রসাধনী ও রূচচর্চার সামগ্রী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মনে রাখতে হবে। প্রথমত, পাত্রের বাড়ি থেকে  যে সব প্রসাধনী সামগ্রী আসছে, সেগুলি পুনরায় না কেনাই শ্রেয়। দ্বিতীয়ত, যদি নিয়মিত রূপটান সামগ্রী ব্যবহারের অভ্যাস না থাকে, তা হলে বড় আকারের রূপটান সামগ্রী কেনার দরকার নেই।

চলতি সাজের দিকে নজর রাখুন

বিয়ের সন্ধ্যে প্রত্যেকের জীবনেই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। তাই নিজের ব্রাইডাল লুক বেছে নেওয়ার সময় ট্রেন্ডের দিকেও লক্ষ্য রাখুন। যেমন, এখন ব্রাইডাল লুকে পুরনো ছোঁয়া দেওয়ার প্রচলন দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে, মাথায় সুন্দর কারকার্য করা শোলার মুকুট পরছেন কনেরা। এক দশক আগেও কিন্তু মাথায় সোনার বা সোনালি মুকুট পরছিলেন কনেরা। এখন কিন্তু সেটি চলতি ফ্যাশনের বাইরে।

সঠিক জুতো নির্বাচন

জুতো কেনার সময়ও পুরনো স্টাইলের কোনও জুতো কিনবেন না। সোনালি জরির কাজ করা জুতো এখন সেকেলে। ট্রেন্ড অনুযায়ী করে জুতো কিনুন। বিয়ের পরবর্তী সময়ে অফিস যাওয়ার জন্যে বা নিয়মিত ব্যবহারের জন্যেও জুতো কিনে রাখুন।

সবসময় ব্র্যান্ড নয়, গুরুত্ব দিন নিজের পছন্দকে

কেনাকাটা করার সময় শুধু মাত্র ব্র্যান্ডের পিছনেই ধাওয়া করবেন না। বরং আপনার পছন্দকেই প্রাধান্য দিন। অত্যন্ত সাধারণ একটি শাড়িও যদি আপনার পছন্দ হয়, তবে সেই শাড়িটিই কিনুন। একটি সাধারণ জুতো পছন্দ হলে সেই জুতোও কিনতে পারেন। পছন্দ মতো কেনাকাটা করুন। আপনার বিশেষ দিনে যা আপনাকে করে তুলবে অনন্যা।

সফলতার ১৫ সূত্র

জীবনে সফল হতে কে না চায়। সফল হওয়ার জন্য আমরা কতকিছুই না করি। কেউ হয়ত সফল হয়েও যান, আবার কারো পা হড়কেও যায়। আসলে সফলতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক ধরনের। তবে কিছু বিষয় অনুসরণ করলে হয়ত ধরা দিতে পারে সফলতা। চলুন জানি তেমন কিছু সূত্র- 

১. আজ থেকে পাঁচ বছর পর আপনি কোথায় যাবেন তা নির্ভর করবে এখন আপনি কী ধরনের বই পড়ছেন, কোন ধরনের মানুষের সাথে মেলামেশা করছেন সেটার উপর।

২. এডিসন বলেন, সাফল্য হলো ৯৫% কঠোর পরিশ্রম আর ৫% অনুপ্রেরণার ফল।

৩. যে ব্যক্তি পড়তে পারে কিন্তু পড়ে না, আর যে ব্যক্তি পড়তে পারে না দুই-ই সমান।

৪. ফার্স্ট ইমপ্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোনো কথা বলার আগেই একজনের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই তার সম্পর্কে একটা ধারণা হয়ে যায়। We never get a 2nd chance to make the first impression.

৫. আপনি কী অর্জন করেছেন, সাফল্য মাপার মানদণ্ড সেটা নয় বরং আপনি পড়ে যাওয়ার পর কতবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটাই আসল।

৬. পরাজয়ের ভয়, পরাজয়ের চেয়েও খারাপ।

৭. একটা পরাজয় আরো পরাজয়ের জন্ম দেয়। কারণ প্রত্যেকটা পরাজয়ের সাথে ব্যক্তি তার আত্মমূল্য হারিয়ে ফেলে, যা পরবর্তী পরাজয়ের কারণ।

৮. পরাজিতরা কোনো কিছু ঘটার অপেক্ষায় থাকে। তারা কখনই কোনো কিছু ঘটাতে পারে না।

৯. যে সবকিছু তৈরি জিনিস পেতে চায়, সে জীবনে কিছু করতে পারে না। সফল ও ব্যর্থ উভয়ের দিনই ২৪ ঘন্টায়।

১০. NO মানে একেবারে না নয়। NO = Next Opportunity.

১১. বাহ্যিক সাফল্য আচরণের উপর নির্ভর করে। যদি আপনি নিজেকে চরিত্রবান, সাহসী, সৎ বলে বিশ্বাস করেন তাহলে এগুলো আপনার আচরণে প্রতিফলিত হবে।

১২. জয়ী হতে হলে কী কী করতে হবে বিজয়ীরা সেটার উপর গুরুত্ব দেয়। আর বিজিতরা যা যা পারে সেটার উপর গুরুত্ব দেয়।

১৩. আপনি সবসময় যা করে এসেছেন, এখনও যদি সেটাই করেন তাহলে সবসময় যা পেয়েছেন, এখনও তাই পাবেন।

১৪. সম্পর্ক তৈরি করা একটা প্রক্রিয়া, কোনো ঘটনা না।

১৫. আপনার ইচ্ছা শক্তি আপনার ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

বাচ্চার টিফিনের জন্য কোন খাবার বানিয়ে দেবেন?

সকালে স্কুল শুরু হওয়ার পর থেকে টিফিনের বিরতি হওয়ার আগে পর্যন্ত, মাঝেমধ্যেই ব্যাগ খুলে শুধু একটি জিনিসেরই খোঁজ চলে। ‘আজ টিফিনে মা কী দিয়েছে?’ বাচ্চারা নিজের হাতে, তৃপ্তি করে খেলে সব মায়েরই ভাল লাগে। কিন্তু মুখরোচক, কম সময়ে বানিয়ে ফেলা যায় অথচ স্বাস্থ্যকর— রোজ নতুন নতুন এমন খাবার কী ভাবে পাবেন বলুন তো? বাচ্চার মন এবং পেট দুই-ই ভরবে, টিফিনে যদি বানিয়ে দিতে পারেন চিকেন স্যালাড রোল। রইল তার রেসিপি।

দেখে নিন, চিকেন স্যালাড কিমা বানাবেন কী কী লাগবে?

উপকরণ:

মুরগির মাংসের কিমা: ১ কাপ

বিভিন্ন সব্জি: আধ কাপ

পেঁয়াজ কুচি: ২ টেবিল চামচ

রসুন: ১ টেবিল চামচ

আদা: আধ চা চামচ

মেয়োনিজ়: আধ কাপ

গোলমরিচ গুঁড়ো: আধ চা চামচ

তেল: ২ টেবিল চামচ

নুন: স্বাদ অনুযায়ী

রুটি: একটি

প্রণালী:

১) প্রথমে কড়াইয় তেল গরম করে নিন।

২) এর মধ্যে দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি। একটু ভাজা হয়ে এলে তাতে দিয়ে দিন রসুন এবং আদা কুচি।

৩) এর পর দিন মুরগির মাংসের কিমা। ভাল করে কষিয়ে নিন।

৪) সামান্য নুন এবং গোলমরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে, ভাপিয়ে রাখা সব্জিগুলি দিয়ে দিন।

৫) পুরো বিষয়টি মাখো মাখো হয়ে এলে উপর থেকে ছড়িয়ে দিন মেয়োনিজ়। না চাইলে দিতে পারেন টক দইও।

৬) ভাল করে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিন।

৭) এ বার হাতেগড়া রুটি বা লম্বা পাউরুটি মাঝখান থেকে কেটে নিয়ে তার মধ্যে পুরে দিন লেটুস এবং মাংসের পুর।

৮) উপর থেকে স্যালাডের জন্য শসা, চেরি টম্যাটো, পেঁয়াজও দিতে পারেন।

শিশুর কোন বয়সে পড়াশোনা শুরু করা উচিত?

দেশভেদে শিশুর প্রাক-প্রাথমিক বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বয়স ভিন্ন। অভিভাবকের মধ্যেও তাই এ নিয়ে দ্বিধার শেষ নেই। কম বয়সে স্কুলে ভর্তি না করিয়ে দিলে মনে হয়, “আমার বাচ্চাটা পিছিয়ে যাচ্ছে না তো সবার চেয়ে?” আর স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলে মনে হয়, “আমার বাচ্চাটার উপরে বেশি চাপ পড়ে যাচ্ছে না তো?” 

শিশুর স্কুলে ভর্তি হওয়া নিয়ে এমন দোনোমনা কম না। সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় আবার উঠে এসেছে এই প্রশ্ন নতুন করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশুকে স্কুলে ভর্তি করানো নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রথা আছে। 

প্রাথমিক বা প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তি- কোন দেশে কেমন চল?

বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো কোনো দেশে নিয়ম হিসেবেই, আবার কোথাও শুধু একটা প্রথা হিসেবে ভিন্নতা চলে আসে। যেমন: যুক্তরাষ্ট্রে আগস্ট মাসের ৩১ তারিখের আগে যদি কোনো শিশুর ৫ বছর বয়স হয়ে থাকে, তাহলে সে চাইলে কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হতে পারে। তবে এটা বাধ্যতামূলক না। বাবা-মা চাইলে সন্তানকে ৮ বছর বয়সের আগপর্যন্ত ঘরেই পড়াশোনা শেখাতে পারেন। তবে হাওয়াইয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম। সেখানে শিশুর বয়স জুলাই মাসের ৩১ তারিখের আগে ৫ বছর হলে তাকে স্কুলে ভর্তি করানো নিয়ম।

ফ্রান্সে, শিশুর বয়স ৩ বছর হয়ে গেলে তার স্কুলে যাওয়া শুরু করা বাধ্যতামূলক। চাইলে সেটা বাবা-মা ২ বছর বয়স থেকেও শুরু করতে পারেন। প্রি-স্কুল থেকে এভাবে ৬ বছর বয়সে একজন শিশু প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হতে পারে।

সুইডেনে, শিশুদের স্কুলের বয়সটা শুরু হয় মোটামুটি ৬ বছরে পড়লেই। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে শিশুদের স্কুলে ১০ বছর থাকাটা বাধ্যতামূলক বলেই এমনটা নিয়ম।

দক্ষিণ আফ্রিকায়, শিশুরা ৭ বছর বয়সে গ্রেড ১-এ পড়াশোনা শুরু করতে পারে। তবে এর আগে চাইলে গ্রেড ০ নামে আরেকটি গ্রেডেও ভর্তি হতে পারে তারা, যেটা বাধ্যতামূলক না।

চীনে, ৩১শে আগস্টের আগে ৬ বছর বয়স হয়ে থাকলে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হতে পারবে একজন শিশু। তবে চীনা আইন অনুযায়ী অন্তত ৯ বছর বয়সের মধ্যে শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতেই হবে।

রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া আর মিশরেও শিশুর বয়স ৬ বছর হলেই তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাটা প্রচলিত প্রথা। 

প্রশ্ন হলো, তাহলে কোন বয়সে শিশুদের স্কুলে যাওয়াটা সবচেয়ে ভালো?

গবেষণা কী বলছে?

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সম্প্রতি কোন বয়সে শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া উচিৎ সেটা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করেন থমাস ডী এবং হেনরিক সিভার্টসেন। ড্যানিশ ন্যাশনাল বার্থ কোহর্টের মাধ্যমে মোট ৫৪,২৪১ জন অভিভাবকের সাথে কথা বলেন যাদের ৭ বছর বয়সী সন্তান আছে, এবং একইসাথে ১১ বছর বয়সী সন্তান আছে এমন আরো ৩৫,৯০২ জন অভিভাবকের সাথেও কথা বলেন তারা। 

গবেষণার মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্তে আসেন যে, বাবা-মায়ের মতে শিশুরা ৬ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হলেই সেটার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে তাদের উপরে। তারা যেমন তখন নিজেদের আরো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, ঠিক তেমন পরীক্ষা আর অন্যান্য ব্যাপারেও ভালো করে। বিশেষ করে ৭-১১ বছর বয়সীদের মধ্যে এই মানসিক উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, আত্মনিয়ন্ত্রণ অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। শিশু এই আত্মনিয়ন্ত্রণ বয়সের সাথে সাথে আরো বেশি করতে শেখে, যেটা তাকে কোনোরকম মনোযোগের ব্যাঘাত হওয়া থেকে বিরত রাখে। তাহলে কি শিশুকে একটু বড় হওয়ার পর ৬ বছর বয়সের পরই বিদ্যালয়ে পাঠানো উচিৎ? এক্ষেত্রে কিছু জরুরি প্রশ্ন আপনাকে সাহায্য করতে পারে সিদ্ধান্ত নিতে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক প্রশ্নগুলো।

আপনার শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বা কিন্ডারগার্ডেনে ভর্তির আগে এই প্রশ্নগুলো করুন।

১) আপনার শিশু কি নির্দেশনা মানতে পারে? বিদ্যালয়ে শিশুর যাওয়া মানেই হলো তার অন্যের কাছ থেকে নির্দেশনা নেওয়া। তার মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। স্কুলে তাকে নাশতা করা, নিজেকে পরিষ্কার রাখা, বন্ধুদের সাথে মেশা ইত্যাদি কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হতে পারে। সে এগুলো কারো সাহায্য ছাড়াই আয়ত্ব করতে পারলে কিন্ডারগার্টেনে তাকে ভর্তি করিয়ে দিতে পারেন।

২) আপনার শিশু কি একটি কাজ থেকে অন্য কাজে মনোযোগ দিতে পারে? স্কুলে একটি শিশুকে এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে, এক খেলা থেকে অন্য খেলায় মনোযোগ দিতে হতেই পারে। খেলাধুলার সময় শেষ হলে তাকে আবার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে সে এই কার্যক্রমের পরিবর্তন নিতে পারবে কিনা সেটা জানাটা প্রয়োজন। শিশু এই ব্যাপারটি আয়ত্ব করতে পারলেই তাকে স্কুলে ভর্তি করতে পারেন।

৩) আপনার শিশু কি বাসা থেকে, পরিবার থেকে দূরে থাকতে পারে? শিশু যদি বাসার বাইরে বা বাবা-মা ছাড়া অন্য কারো সাথে থাকতে না পারে মানসিকভাবে, সেক্ষেত্রে তাকে আপাতত স্কুলে না পাঠানোই ভালো। শিশু যদি পরিবারের বাইরেও বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারে, মিশতে পারে, তাহলে তাকে স্কুলে ভর্তি করার কথা ভাবুন।

মূলত, শিশু কেমন পরিবেশে বড় হচ্ছে, সে একজন আলাদা মানুষ হিসেবে কেমন, স্কুল ব্যাপারটার সাথে তার পরিচয় কীভাবে হয়েছে- এই সবকিছু মিলেই তাকে স্কুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ভালো। তাই গড়পড়তা কোনো কিছুকেই ঠিক মনে না করে আপনার শিশুকে দেখুন এবং সেই ভিত্তিতেই তাকে স্কুলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিন।