বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আন্তজার্তিক ডেস্ক: | আন্তর্জাতিক | ফোরপিলার্সবিডি.কম
প্রকাশিত:
বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও এক বার দল এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, সোমবার দুপুরে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী (পিস কিপিং ফোর্স) পাঠানোর জন্য কেন্দ্রকে জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রস্তাব কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক।”

একই সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিবৃতি দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। যদি তাঁর কোনও অসুবিধা থাকে, তবে বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি দিন।” বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও এক বার দল এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি জানান, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই। তাই তাঁরা কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে চলবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হলে তাঁর সরকার তা সহ্য করবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা তাঁদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি।”এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “আমাদের পরিবার, সম্পত্তি এবং প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে আছেন। ভারত সরকার এই বিষয়ে (বাংলাদেশ) যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। কিন্তু বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এই বিষয়ে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।”

বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্র চুপ করে রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “আমি গত ১০ দিন ধরে দেখছি কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে। অথচ তাদের দল বলছে সব আটকে দেব। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কোনও এক্তিয়ার নেই।”

বৃহস্পতিবারও বিধানসভার অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ নিয়ে দেশের সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তার সঙ্গে আছেন। বুধবার সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রায় একই কথা বলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বাংলাদেশের ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরও খবর

ধেয়ে আসছে ‘পৃথিবীর বৃহত্তম’ হিমশৈল

অ্যান্টার্কটিকা থেকে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর বৃহত্তম হিমশৈল। এর সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি দেখে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের গবেষকরা বলছেন, হিমবাহটি সাউথ জর্জিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে ঝুঁকিতে পড়তে পারে এ অঞ্চলের সিল, পেঙ্গুইনের মতো প্রাণিদের স্বাভাবিক বিচরণ। 

পৃথিবীর বৃহত্তম এই হিমশৈলের আয়তন প্রায় দক্ষিণ আটলান্টিক দ্বীপের সমান, লন্ডনের দ্বিগুণ। অর্থাৎ আয়তন চার হাজার ২০০ বর্গ কিলোমিটার। হিমবাহটির ওজন কয়েকশ’ বিলিয়ন টন।

হিমশৈলটি এখন সাউথ জর্জিয়া থেকে ১৭৩ মাইল (২৮০ কিমি) দূরে অবস্থান করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দ্বীপের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি টুকরা টুকরা হয়ে যেতে পারে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের গবেষক জেরেইন্ট টারলিং বলছেন, “সবচেয়ে বিপদ হতে পারে যদি হিমবাহটা কোথাও এসে থমকে যায়। এর আয়তন ও ওজন এতই যে, অন্তত ১০ বছর তা সেখানেই আটকে থাকবে। আর তাতে পেঙ্গুইন, সিলদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।”

অ্যান্টার্কটিকা থেকে নেমে আসা বহু হিমবাহ সাধারণত সাউথ জর্জিয়ায় এসে গতিপথ শেষ করে। তাই এই এলাকাকে হিমবাহের সমাধিস্থল বলে থাকে অনেকে। এখানকার উপকূল অংশে খণ্ডবিখণ্ড বহু হিমশৈলের অংশ এমনভাবে পড়ে থাকে, কখনও তা ভাস্কর্যের রূপ নেয়। এই অবস্থায় হিমবাহের গতিশীলতা থেমে যায়। আর এগিয়ে যেতে পারে না। এরপর খুব ধীরে ধীরে গলতে থাকে।

এসব হিমশৈলের টুকরো অনেক সময়েই স্থানীয় প্রাণী অর্থাৎ পেঙ্গুইন, সিলদের অবাধ বিচরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয় বড় এই হিমবাহের কারণে সেই বাধা আরও বড় হয়ে দাঁড়াবে বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।

এছাড়া হিমবাহের যা আয়তন, তাতে হিমবাহের চূড়া ভেঙে সমুদ্র পড়লে বহু সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

অতীতে হিমশৈলের ধাক্কায় সাউথ জর্জিয়ার বরফাচ্ছাদিত সাগরতীরে বিচরণকারী অগণিত পাখি ও সিল মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খাবার সংগ্রহের পথ রুদ্ধ হয়ে এদের মারা যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

বিশাল হিমশৈলের কারণে সাউথ জর্জিয়া ও স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জ হুমকিতে পড়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়; ২০০৪ সালে এ৩৮ নামের একটি হিমশৈল দ্বীপের মহীসোপান বা কন্টিনেন্টাল শেলফের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার কারণেও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। বিশাল বরফের টুকরার কারণে খাবার সংগ্রহের পথ বন্ধ হয়ে সমুদ্রতীরের অনেক পেঙ্গুইন ও সিল মারা যায়।

অঞ্চলটি কিং এমপেরর পেঙ্গুইনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আবাসস্থল। বহু এলিফ্যান্ট ও ফার সিলের আবাসও এখানে।

সমুদ্রবিষয়ক গবেষক অ্যান্ড্রু মেইজার্স বলেন, “সাউথ জর্জিয়া আইসবার্গ অ্যালিতে অবস্থিত। তাই মৎস্য ও বন্য প্রাণী—উভয়ের ওপরই এর (হিমশৈলটির সংঘর্ষ) প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে এবং উভয়েরই পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দুর্দান্ত ক্ষমতা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “হিমশৈলগুলো ক্রমাগত সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ২০২৩ সালে এ৭৬ নামের একটি হিমশৈলকে আছড়ে পড়তে দেখে মানুষ আতঙ্কিত হয়েছিলেন।”

গার্ডিয়ান অবলম্বনে

শ্রীলঙ্কার চিনপন্থী নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে চিন্তায় ভারত

শ্রীলঙ্কায় বামপন্থীদের জয়জয়কার। নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন ন্যাশনাল পিপল্‌স পাওয়ার (এনপিপি) নামের বাম জোটের নেতা অনুরাকুমার দিশানায়েকে। সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণের দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। শ্রীলঙ্কায় দশম প্রেসিডেন্ট হিসাবে কুর্সিতে বসলেন জনতা বিমুক্তি পেরামুনা বা জেভিপির পলিটব্যুরোর সদস্য দিশানায়েকে। দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনার শেষে তাঁর জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এর পরই রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ে চলে আসেন তিনি। সেখানে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সূর্য।

দিশানায়েকে শ্রীলঙ্কার কুর্সিতে বসতেই ভারতের সঙ্গে দক্ষিণের দ্বীপরাষ্ট্রটির সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা। ইতিহাসগত ভাবে তাঁকে ভারত-বিরোধী ও চিনপন্থী বলেই মনে করা হয়। ফলে তাঁর জয়ে ভ্রু কুঁচকেছেন নয়াদিল্লির কূটনীতিকদের একাংশ।

শ্রীলঙ্কার বাম দল জেভিপির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রোহানা উইজেভেরা। ১৯৮০-র দশকে ‘ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ’-এর কথা বলে বলে দ্বীপরাষ্ট্রের আমজনতাকে উস্কানি দেন তিনি। নয়াদিল্লিকে শ্রীলঙ্কার অন্যতম বড় শত্রু বলেও উল্লেখ করেছিলেন জেভিপির প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮৭ সালে ভারতের সঙ্গে বিশেষ একটি চুক্তিতে সই করে শ্রীলঙ্কা। যাতে প্রধান ভূমিকা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জেআর জয়বর্ধনের। চুক্তিতে তামিলদের বেশ কিছু সুযোগসুবিধা দেওয়া এবং প্রাদেশিক সরকারগুলিকে ক্ষমতাশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল লঙ্কা প্রশাসন। কিন্তু ভারত-শ্রীলঙ্কার ওই চুক্তির বিরোধিতা করে জেভিপি। শুধু তা-ই নয়, দেশের ভিতরে সশস্ত্র বিদ্রোহ গড়ে তোলে এই দল। যা দমাতে সেনা নামাতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কার সরকারকে। বেশ কয়েক বছর ধরে চলেছিল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

তবে বর্তমানে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। দিশানায়েকের মুখে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখার কথা শোনা গিয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লি এসেছিলেন তিনি। ওই সময়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন দিশানায়েকে। জয়শঙ্কর ও ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন দিশানায়েকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার জেরে আমার দলের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিতে বড় ধরনের কোনও বদল আসবে না। তবে ভারতের থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আশা করছি।’’

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ক্ষমতায় বসার পর প্রবল ভারত বিরোধিতার রাস্তায় না-ও হাঁটতে পারেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট। কারণ দ্বীপরাষ্ট্রটির ঋণখেলাপি অবস্থা পুরোপুরি কাটেনি। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার বা আইএমএফের থেকে নতুন করে ঋণ নিতে হলে ভারতের সাহায্য প্রয়োজন হবে। তবে দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হবে, এমন আশা করা বাতুলতা বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞেরা। চিনের সঙ্গে একাধিক চুক্তি করতে পারেন তিনি। যদিও মুখে ভারত-চিন ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কা কোনও শক্তির অধীনস্থ হবে না বলেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন দিশানায়েকে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, এ সবই কথার কথা। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর রয়েছে চিনের দখলে। আগামী দিনে সেখানে বেজিংয়ের পাঠানো যুদ্ধজাহাজ বা গুপ্তচর জাহাজের আনাগোনা বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। অন্য দিকে অনুরাকুমার দিশানায়েকে দেশের প্রেসিডেন্ট হতেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ গুণবর্ধনে। দ্বীপরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ক্ষমতায় নতুন প্রেসিডেন্ট এলে নিয়ম মেনে এটা করতে হয়। গুণবর্ধনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।

এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে মাত্র তিনি শতাংশ ভোট পেয়েছিল দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন বাম জোট। কিন্তু গত পাঁচ বছরে আমূল বদলেছে পরিস্থিতি। দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়ায় সেখানকার জনগণ পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের উপর ভরসা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২২ সালে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। যার জেরে দেশ জুড়ে শুরু হয় গণবিক্ষোভ। উন্মত্ত জনতা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবনে চড়াও হয়েছিল। দেশ ছেড়ে চম্পট দেন তিনি। প্রেসিডেন্টের ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষেও ওই সময় দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন।

রাজাপক্ষে ভাই শ্রীলঙ্কা ছাড়ার পর দ্বীপরাষ্ট্রে গঠিত হয় অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। যা পার্লামেন্টের সদস্যেরা ভোটাভুটি করে ঠিক করেছিলেন। ওই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ক্ষমতায় আসার পর রাজাপক্ষে ভাইদের বিরুদ্ধে যে দেশ জুড়ে গণবিক্ষোভ ছিল তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি ৭৯ বছরের এই রাজনীতিক।

২০২২ সালের ওই ঘটনার পর চলতি বছরেই প্রথম বার ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন লঙ্কাবাসীরা। এই নির্বাচনের দিকে কড়া নজর রেখেছিল ভারত ও চিন। আর্থিক সঙ্কট চলাকালীন টাকার জোগান দিয়ে কলম্বোর পাশে দাঁড়িয়েছিল নয়াদিল্লি।

এ বারের শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে মূল লড়াই ছিল তিন জনের মধ্যে। ভোটযুদ্ধে দিশানায়েকের বিরুদ্ধে রনিল ছাড়াও কড়া টক্কর দিয়েছেন ৫৭ বছরের সাজিথ প্রেমদাসা। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা তিনি।

দ্বীপরাষ্ট্রের এ বারের নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে কোনও প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনার শেষে দিশানায়েককে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। তিনি পেয়েছেন ৪২.৩১ শতাংশ ভোট। অন্য দিকে প্রেমাদাসার প্রাপ্ত ভোট ৩২.৭৬ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে।

ভোট শতাংশের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে। মাত্র ১৭.২৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। ফলে প্রথম রাউন্ডের পরই লড়াই থেকে ছিটকে যান তিনি।

শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপরাষ্ট্রটির মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ। গত ২১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার ভোটের লাইনে দাঁড়ান তাঁরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটদানের পরিমাণ ছিল ৭৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ২৭ লক্ষ লঙ্কাবাসী নির্বাচনী মত প্রকাশ করেছিলেন।

কমিশন জানিয়েছে, ভোটগণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন দিশানায়েকে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রথম পছন্দের ভোট ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। ফলে দ্বিতীয় পছন্দের ভোটগণনা শুরু হয়। তাতেও বাকিদের অনেকটাই পিছনে ফেলে প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের এই বাম নেতা।

ভোটে জয়ের পর সমাজমাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেছেন দিশানায়েকে। এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, এই জয় সকলের। দ্বীপরাষ্ট্রে তিনি নতুন ধরনের বামপন্থার জন্ম দিতে চলেছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

বাইডেনের প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন, তবে কেন অনেক ডেমোক্র্যাট এখনও তার সাথে দাঁড়িয়ে আছেন?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে। বিডেন আবারও রাষ্ট্রপতি পদের জন্য তার প্রার্থিতা থেকে প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে চলেছেন।

তবে গত কয়েকদিন ধরে, তার নিজের বিপুল সংখ্যক সমর্থক, অর্থাৎ ডেমোক্রেটিক পার্টি তাকে অন্য কোনো প্রার্থীর জন্য পথ পরিষ্কার করতে বলছে।

শুক্রবার, মিশিগানের ডেট্রয়েটে একটি সমাবেশে বক্তৃতা করার জন্য বিডেন যখন মঞ্চে পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উচ্ছৃঙ্খল ভিড়ের মুখোমুখি হন। লোকেরা চিৎকার করছিল - "তুমি চলে যাচ্ছ না।"

তবে সেখানে তার শত শত সমর্থক উপস্থিত ছিলেন যারা তাকে উল্লাস করছিল। তাদের মধ্যে বাইডেন বলছিলেন, "আমি লড়ছি এবং আমি জিতব।"

তিনি মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে টম পেটির হিট গান "আই ওয়ান্ট ব্যাক ডাউন" বাজতে শুরু করে। যা সম্ভবত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নির্বাচিত সদস্যদের বোঝানোর উদ্দেশ্যে ছিল, যারা বিডেনকে তার ক্রমবর্ধমান বয়সের কারণে রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থীতার দৌড় থেকে সরে যেতে বলছে।

আঘাত লেগেছে পায়ে, কিন্তু অপারেশন হলো গোপনাঙ্গে!

ভারতের মহারাষ্ট্রের থানে এলাকার এক হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভুল অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে। ওই রোগী পায়ে আঘাত পেয়েছিল। সেখানে অপারেশন করার কথা ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, পায়ের বদলে রোগীর গোপনাঙ্গে অপারেশন করেছেন চিকিৎসকেরা। 

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, গত মাসে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ব্যথা পায় ৯ বছর বয়সী এক ছেলে। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে চিকিৎসকেরা ভুল করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের। 

 

এ ঘটনার পর পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। 

 

এই অপারেশনে নেতৃত্ব দেওয়া চিকিৎসক বলেন, আসলে ওই বালকের শরীরের দুই জায়গায় সমস্যা দেখা যায়। এ কারণে দুটি অপারেশন করতে হয়েছে। এ নিয়ে পরিবারকে হয়তো জানানো হয়নি।  

 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা যে অপারেশন করেছে সেটি সঠিকই ছিল। কিন্তু এসব ব্যাখ্যা মানতে নারাজ বালকের পরিবার।